কালিগঞ্জে সুমিতা সরদার (২৬) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার পর আত্মহত্যা হিসেবে চালানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুরকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের কুশুলিয়া মল্লিক পাড়া এলাকায়।
নিহত গৃহবধূ উপজেলার কুশুলিয়া গ্রামের মিঠুন মন্ডলের স্ত্রী ও চাম্পাফুল ইউনিয়নের বিশ্বজিৎ সরদারের মেয়ে।
নিহতের পিতা বিশ্বজিৎ সরদার জানান, উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের নির্মল মন্ডলের ছেলে মিঠুন মন্ডল (২৮) এর সাথে প্রায় ৬ বছর পূর্বে চাম্পাফুল ইউনিয়নের বিশ্বজিৎ সরদারের মেয়ে সুমিতা সরদার (২৬) এর বিয়ে হয়। তাদের ৪ বছর বয়সী একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
বিয়ের পর থেকে জামাতা বিভিন্ন সময় তার মেয়ের নিকট যৌতুক দাবি করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছিল। তিনি আরও বলেন, কয়েক মাস আগে মেয়ের সুখের কথা ভেবে জামাতাকে নগদ ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে জমি কিনে দিয়েছি। তারপরও জামাতা মিঠুন ও তার পরিবারের লোকজন আমার মেয়েটাকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে।
তার মেয়ে সুমিতাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর এটাকে আত্মহত্যার নাটক সাজাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অপরদিকে নিহত গৃহবধূর স্বামী মিঠুন মন্ডল জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে তার স্ত্রী সুমিতা সরদার সকলের অগোচরে বাড়ির সামনে ছবেদা গাছে দড়ির সাহায্যে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে কী কারণে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে সে ব্যাপারে তিনি অবগত নন বলে জানিয়েছেন।
থানার উপপরিদর্শক নকীব আহমেদ পান্নু জানান, খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে নিহত গৃহবধূর মৃত্যু রহস্যজনক মনে হওয়ায় স্বামী মিঠুন মন্ডল ও শ্বশুর নির্মল মন্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।