তখন সকাল সাড়ে ছয়টা আমাদের রেলস্টেশন পাড়ার কয়েকজন দেখতে পাই রেল-স্টেশনের সীমানা রেলিং এর সাথে গলাই ওড়না বাধা একটি মহিলার লাশ ঝুলছে। সাথে সাথে রেল স্টেশন মাস্টারকে জানানো হয়। তখনো লাশের পরিচয় কেউ জানে না। কথাগুলো বলছিলেন কোটচাঁদপুর রেল স্টেশন পাড়ার ডালিম হোসেন। এমন খবর সাথে সাথে এলাকায় চাউর হয়ে পড়ে। শত শত মানুষ সেখানে ভিড় জমায় ঝুলন্ত লাশ দেখতে। কেউ বুঝে উঠতে পারছেন না এটা হত্যা না আত্মহত্যা। লাশটিকে নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।
এমনই ঘটনা ঘটেছে শনিবার (২৬/১১/২০২২) কোটচাঁদপুর রেলস্টেশন এলাকায়। রেল-স্টেশন মাস্টার আবদুল মজিদ জানান- খবর পেয়ে সাথে সাথে তিনি রেলওয়ে পুলিশ যশোর ও কোটচাঁদপুর থানাকে অবহিত করেন। পরে লাশটি সনাক্ত করে এলাকার লোকজন।
জানা গেছে লাশটি কোটচাঁদপুর পৌর এলাকার রুদ্রপুর গ্রামের বিশারত আলীর স্ত্রী রিনা খাতুন (৩২)-এর।
বিশরত আলি একজন দিন মুজুর। তিনি বলেন-পারিবারিক অশান্তির কারণে তার স্ত্রী রেহেনা খাতুনকে শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে পাওয়া যাচ্ছিল না। শনিবার সকালে রেল-স্টেশনে একটি লাশের কথা জানতে পেরে তিনি ঘটানাস্থলে আসেন এবং স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।
নিহত রেহানা খাতুনের মা রেবেকা খাতুন ঘটনাস্থলে এসে মেয়ের লাশ দেখে অভিযোগ করে বলেন-আমার মেয়েকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। নিহতের মামাতো বোন স্বপ্না বলেন-এর আগেও অনেক ঘটনায় এ সংসারে ঘটেছে যে কারণে তিনি মনে করেন তার বোনকে হত্যা করা হয়েছে।
সকাল ৯ টার দিকে যশোর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁডির ইন-চার্জ সাব ইন্সপেক্টর অসীম কুমার দাস ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করেন। পরে সুরোতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য যশোর নিয়ে যান। এ সময় তিনি বলেন-এটি হত্যা না আত্মহত্যা এখন বলা মুশকিল। ময়নাতদন্তের পর সবকিছু জানা যাবে।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার ওসি (তদন্ত) জগন্নাথ চন্দ্র এ প্রতিবেদককে বলেন- লাশের সংবাদ পাওয়ার পরপরই পুলিশ পাঠিয়েছিলাম ঘটনাস্থলে। পরে লাশ রেল-পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর নিয়ে গেছে।