আজ ২৮ নভেম্বর (সোমবার) জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে ঘিরে আওয়ামী নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। গত ২০১৫ সালের ২০ মে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তারপর প্রায় সাড়ে ৭ বছর পর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে ঘিরে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটানোর পরিকল্পনা নিয়েছে দলটি। এদিকে পদ প্রত্যাশী নেতাকর্মীদের ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে জামালপুর পুরো শহর। নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক তোরণ।
জেলা সম্মেলন সম্পকে ২৭ নভেম্বর (রোববার ) দুপুরে দলের পক্ষ থেকে এক সবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, সম্মেলনে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বালাদেশ আওয়ামী লীগের লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহ্গাীর কবির নানক, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপুমনি, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কষিবিদ বাহাউদ্দিন নাসিম, ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি,ময়মনসিহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল,বাবু অসিম কুমার উকিল,কেন্দিয় সদস মারুফা আক্তার পপি,উপাধক্ষ রেমন আডে,ধমপতিমন্ত্রী আলহাজ ফরিদুল হক খান এমপি, আবুল কালাম আজাদ এমপি,ইঞ্জিনিয়ার মোজাফ্ফর হোসেন এমপি,সাবেক ভূমিমন্ত্রী আলহাজ রেজাউল করিম হীরা, মহিলা এমপি বেগম হোসনে আরা ও জামালপুর পৌর মেয়র আলহাজ ছানোয়ার হোসেন ছানু প্রমুখ।
সরেজমিনে দেখা যায়, জামালপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন জেলা স্কুল মাঠে সম্মেলনের প্রায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারী বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার কে হচ্ছেন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। দলের দায়িত্বশীল নেতারা জানান, ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সফল ও সার্থক করতে ইতোমধ্যে জেলার ৭টি উপজেলার মধে ৫টি, ৮টি পৌরসভা এব ৬৮টি ইউনিয়নে মধে ৫৯টি ইউনিয়নের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।অবশিষ্ট গুলো জেলা সম্মেলনের পর অনুষ্ঠিত হবে। এসব কমিটির নেতাকর্মীদের নিয়ে সম্মেলন সফল করতে বর্ধিত সভা করা হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২০ মে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলে অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ্ কে সভাপতি এবং ফারুক আহম্মেদ চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে মোট ৭৫ সদস্যে বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এরপর দীর্ঘ সাড়ে ৭ বছর অতিক্রান্ত হলেও কোনো সম্মেলন হয়নি।