বাংলাদেশ আওয়ামীলী জামালপুর জেলা শাখা ত্রিবার্ষিকী সম্মেলনে প্রধান অতিথি আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক,সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন,কারবালার প্রান্তরে নারী শিশু হত্যা করা হয়নি। অথচ ৭৫এর ১৫আগষ্ঠ বঙ্গবন্ধুর স্ব-পরিবার হত্যা করেছেন বিশ্বাস ঘাতক,জাতীয় বেঈমান খন্দকার মোস্তাকের প্রধান সেনাপতি এই জঘন্যতম হত্যাকারি মেজর জিয়াউর রহমান। আর হরকাতুলজিহাদসহ অন্যান্যের দিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টাকারি তারেক রহমান। তারেক, শেখ হাসিনাকে হত্যার নির্দ্দেশদাতা হিসাবে হরকাতুলজিহাদ স্বীকাররোক্তি মুলক জবান বন্ধি দিয়েছে।
২৮ নভেম্বর (সোমবার) জামালপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন জেলা স্কুল মাঠে প্রধান অতিথিরবক্তব্যে আরো বলেন, বিএনপি যদি শান্তিপূণ ভাবে কর্মসূচি পালন করতে চায়,তা’হলে তাদের বাধাঁ দেয়া হবে না। কিন্তু যদি তারা আগুন সন্তাস,জ্বালাও পোড়াও কিংবা লাঠিসোটা নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে,তাহলে তাদের বাধাঁ দেয়া হবে,কঠোর হস্তে দমন করা হবে। তিনি বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন,খেলা হবে, খেলা হবে। আগামী ৬ডিসেম্বর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ১০ডিসেম্বর যদি তারা আগুন সন্তাস,জ্বালাও পোড়াও কিংবা লাঠিসোটা নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, তা’হলে আ.লীগের নেতাকর্মী-সমর্থকরা কি’ আঙুল চোসবে এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন,খেলা হবে,খেলা হবে,বিদেশে অর্থ পাঁচারকারি,আগুন সন্ত্রাসী, খুনীচক্রের বিরোদ্ধে খেলা হবে। তিনি বিএনপির মহাসচিব,মীর্জা ফকরুলকে উর্দ্দেশ্য করে বলেন,১০ ডিসেম্বর না’ কি বেগম খালেদা জিয়া হেমিলনের বাঁশি ফুঁক দিবে,তাই ১১ডিসেম্বর সরকার পতন ঘটাবে। কিভাবে হেমিলনের বাঁশিওয়ালা বাঁশি ফুঁক দিয়ে সরকার পতন ঘটায়,তাই দেখা যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহ্্্্্্াঙ্গীর কবির নানক।
অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকীবিল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহ্্্্্্াঙ্গীর কবির নানক।তিনি বলেন,তারা আবারও হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে। ওরা আবারও শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চায়। তাদের ষড়যন্ত রোখে দিতে হবে। অনাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,বাংলাদেশ আ.লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বাহাউদ্দিন নাসিম, ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি,ময়মনসিহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল,বাবু অসিম কুমার উকিলএমপি,কেন্দ্রিয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি,উপাধ্যক্ষ রেমন আডেং,ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ ফরিদুল হক খান এমপি, আবুল কালাম আজাদ এমপি, ইঞ্জিনিয়ার মোজাফ্ফর হোসেন এমপি, মহিলা এমপি বেগম হোসনে আরা ও জামালপুর পৌর মেয়র আলহাজ ছানোয়ার হোসেন ছানু,ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী প্রমুখ। এদিকে সম্মেলনে দুপুরের মধ্যে নেতাকমী সমথকরা মাঠের কানায় কানায় ভতি হয়ে পুরো শহরে যানজটের সষ্টি হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে জামালপুর জেলা আ’লেিগর সভাপতি হিসাবে অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকীবিল্লাহর সভাপতি এব বিজন কুমার চন্দকে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নাম ঘোষনা করেন।
উল্লেখ যে,গত ২০১৫ সালের ২০ মে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলে অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ্ কে সভাপতি এবং ফারুক আহম্মেদ চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে মোট ৭৫ সদস্যে বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এর পরবর্তি দীর্ঘ সাড়ে ৭ বছর অতিক্রান্ত হলেও কোনো সম্মেলন হয়নি।