চাল, আটা, ভোজ্য তেল সহ খাদ্যপণের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কারণে হোটেল ব্যবসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। স্থানীয় হোটেল মালিকরা ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হিমসিম খাচ্ছেন। অনেকে কর্মচারী ছাটাই করে কোন রকমে ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছেন।
স্থানীয় বাজারের হোটেল মালিক, কর্মচারী ও ভোক্তা সাধারণ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বৈশ্বিক মন্দার কারণে ভোগ্যপণ্য সহ বেড়েছে সবধরণের পণ্যের দাম। এই অবস্থায় প্রভাব পড়েছে হোটেল ব্যবসার উপর। হোটেল মালিকরা কাষ্টমার খোয়ানোর ভয়ে না পারছেন পণ্যের দাম বাড়াতে না পারছেন ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে। ভবানীগঞ্জ বাজারের অটো চালক নজরুল ইসলাম বলেন, আগে ৫ টাকা দামের দুটো পরটা দিয়ে নাস্তা করা হত। এখন সেই পরটা ১০ টাকা দামের দুটো খেলেও আগের মত পেট ভরেনা। ওই ভোক্তার মতে শুধু পরটা নয়। সিঙ্গারা, সামুচা, পুরি, তন্দুরী খিচুরি সহ সব জিনিসের আকার ও সাইজ ও মান আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে এবং সেই তুলনায় দাম বেড়েছে অনেক।
ব্যবসায়ীরা জানান, জানুয়ারীতে ৩৭ কেজি ওজনের আটার ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা ছিল। এখন সেই আটার বস্তা ২ হাজার ৫৫০ টাকা। ৯০ টাকা লিটারের ভোজ্য তেল এখন ১৬৫ টাকা, ৮৮টাকার পাম এখন ১৩৫ টাকা, ৭৫ টাকার চিনি ১০৮ টাকাপ দরে বিক্রি হচ্ছে। একই ভাবে নাজির সাইল ৫৬ টাকা কেজির চাল এখন ৬৮ টাকা, ৬ টাকার ডিম ১০ থেকে ১২ টাকা। এছাড়াও এখই ভাবে বেড়েছে গ্যাসের দাম। ৮৫০ টাকার গ্যাস এখন ১ হাজার ৩৮০ টাকা। তাদের মতে, এভাবে জিনিসপত্ররে দাম বাড়ায় ভোক্তা পর্যায়ে বেড়েছে খাবারের দাম। বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আরমান আলী জানান, এখন হোটেলে খেয়ে তাদের পোষায় না। একই দামে আগে যে পরিমান ভাত তরকারি দেওয়া হত, এখন তার চেয়ে কম দেওয়া হচ্ছে। ভবানীগঞ্জ বাজারের ভাই ভাই হোটেলের মালিক আবু হোসেন বাবু জানান, আগে যে টাকায় হোটেল শ্রমিক পাওয়া যেত এখন দ্¦িগুন দামেও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া সব জিনিসের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে তারা বাধ্য হচ্ছেন খাদ্যের দাম বাড়াতে। একই মন্তব্য করেছেন বিজলী হোটেলের পরিচালক আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, জিনিসপত্রের বাড়তি মূল্য সহ বিদ্যুত ও গ্যাসের দাম বাড়তি। সেই সাথে বেড়েছে হোটেল শ্রমিকরে মজুরী। সব মিলিয়ে তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই দায় হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিেিস্ট্রট এ,এফ,এম আবু সুফিয়ান বলেন, কী পরিমান দ্রব্যের দাম বেড়েছে সেই তুলনায় হোটেলের খাবারের দাম সামঞ্জস্য আছে কিনা বিষয়গুলো মনিটরিং করা হবে। কোন অসংগতি থাকলে এবং হোটেলে হোটেলে খাবারের মূল্য তালিকা ও মান ঠিক আছে কিনা এসব বিষয় তদারকি করে কোন অনিয়ম পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।