মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার হাকালুকি হাওরের চাতলা বিলের ইজারাদারের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে মাছ আহরণের অভিযোগ এনে ভূমি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের নয়াগ্রামের বাসিন্দা ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগটি দেন। এলাকাবাসী ও অভিযোগসূত্রে জানা যায়, এশিয়ার সর্ববৃহৎ মৎস্য উৎপাদনের উৎস হাকালুকি হাওড়। এই হাওড়ে যেমন প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। তেমনি প্রচুর পরিমানে ধান ও রবিশস্য উৎপাদন হয়। দীর্ঘদিন থেকে ইজারাদার কর্তৃক অপরিকল্পিতভাবে মাছ আহরণ করে রাজস্ব খাতের বড় উৎস এই হাওরের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করছেন। হাকালুকি হাওরের ৫১৮ একরের “চাতলা বিল” জল মহালটি উন্নয়ন স্কীমের আওতায় ১৪২৫ বাংলা হতে ১৪৩০ বাংলা সন পর্যন্ত ৬ (ছয়) বছরের জন্য ইজারা নেন জুড়ী ভেলী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি জায়ফরনগর ইউনিয়নের ইউসুফনগর গ্রামের মোঃ জমির আলী। ইজারার শর্ত অনুযায়ী এই ছয় বছরের মধ্যে প্রতি তিন বছর পরপর মৎস্য আহরণ করার শর্ত থাকলেও ইজারাদার তার অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার লক্ষ্যে প্রতি বছর মৎস্য আহরণের নিয়ম ভঙ্গ করে লাখ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করছেন। ইতঃপূর্বে শুষ্ক মৌসুমে ইজারাদার সেচ পাম্প দিয়ে পানি শুকিয়ে মাছ আহরণ করায় একদিকে যেমন মৎস ও উদ্ভিদের বংশ বিস্তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমনি রাজস্ব আয়ে এর প্রভাব পড়ছে। ইজারার নিয়ম অনুযায়ী চলতি বছর মাছ আহরণ করা নিষেধ থাকা সত্ত্বেও ইজারাদার সেই নিয়মের তোয়াক্কা না করে জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কিছু অসৎ কর্মকর্তার যোগসাজসে ১৪ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন বেড় জাল দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ আহরণ করে যাচ্ছেন। যোগাযোগ করা হলে ইজারাদার মোঃ জমির আলী বলেন, তিনি বিয়ের অনুষ্ঠানে ব্যস্ত আছেন, এ বিষয়ে আপনার সাথে দেখা হলে কথা বলবো এটা বলে তিনি ফোন কেটে দেন।