জামালপুরে চলতি বছর জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ৫৮জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ২০৬ জন নারী ও শিশু ধর্ষণ চেষ্টা থেকে চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছে। সরকারি ভাবে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী চলতি বছরে ৬টি অপহরণ, ৪৪টি খুন, ১১৯টি প্রাণহানী বা আত্মহত্যার ঘটনা সংঘটি হয়েছে। যার ৮০ভাগই নারী ও শিশু। পাশাপাশি ২০২২ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত মোট অপরাধ সংঘটিত হয়েছে ২ হাজার ৫৯৯টি।
ইউএনএফপিএ এর সহযোগিতায় উন্নয়ন সংঘের জেন্ডার প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে চলমান নারী ও শিশুর উপর সহিংসতা বন্ধ এবং প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম।
জামালপুর উন্নয়ন সংঘের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ডিটিআরসিতে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে জেন্ডার প্রকল্পের সমন্বয়কারী অপূর্ব চক্রবর্ত্তীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংঘের হিজড়া উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক লিটন সরকার, পাওয়ার প্রকল্পের ব্যবস্থাপক জ্যোৎস্না আক্তার, সাংবাদিক সাযযাদ আনসারী, মোস্তফা মনজু, ফজলে এলাহী মাকাম, শুভ্র মেহেদী, তানভীর আহাম্মেদ হীরা প্রমুখ। সভায় ২০জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
উন্নয়ন সংঘ সূত্র জানায় সরকারের পাশাপাশি উন্নয়ন সংঘ ধর্ষণ ও সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্য ও আইনগত সহায়তাদানের প্রতিমাসে ২হাজার উঠান বৈঠকের মাধ্যমে ধর্ষণ, অপহরণ, মানবপ্রাচার, বাল্যবিয়ে, যৌন নির্যাতন, নারী ও শিশুর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা প্রতিরোধে আলোচনা করা হয়। এ ছাড়া হোম ওয়ার্ক, কর্মীসভা, ওরিয়েন্টেশন, অ্যাডভোকেসি, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) এর অর্থসহায়তায় উন্নয়ন সংঘ জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। গোলটেবিল বৈঠকে প্রচলিত আইনের কার্যকর প্রয়োগ, বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার, যথাযথ ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের ডাক্তারি পরীক্ষা করা, হয়রানীমুক্তভাবে পুলিশি তদন্ত সম্পন্ন করাসহ সরকারি, বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ বাস্তবায়ন করার পরামর্শ তুলে ধরা হয়।