চট্টগ্রামের ্র্যাব -৭, ৫ম শ্রেনীতে পড়ুয়া নাবালিকা এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে মোঃ মোরশেদ (২৫) পিতা মেঃ ইদ্রিস ঘাগড়া, খিলমোগল, রাঙ্গুনিয়াকে নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন ষোলশহর এলাকা থেকে গত মঙ্গলবার আটক করে।
চট্টগ্রামের ্র্যাব -৭ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ধৃত আসামি ৫ম শ্রেনীতে পড়ুয়াকে ছাত্রীকে স্কুল যাওয়ার সময় নানা কু- প্রস্তাব ও অশালীন কথা বলে বিরক্ত করত। কিন্তু এই নাবালিকার পরিবার লোক লজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলেনি। গত২০ নভেম্বর স্কুল পড়ুয়া ভিকটিম স্কুলে যাওয়ার সময় ধৃত আসামি ও তার শোয়াইব (১৯) নামে এক সহযোগী তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ভিকটিম স্কুল থেকে ফিরে না আসায় তার বাবা রাঙ্গুনিয়া মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে এবং মেয়ে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। পরর্বতীতে এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানায় উল্লিখিত দুইজনকে আসামি করে গত ২৪ নভেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-১৪, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ৭/৯(১)/৩০। উল্লেখ্য, ভিকটিমের বাবা তার নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ ও অপহরণের ব্যাপারে আসামীদ্বয়কে দ্রুত গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামকে অবগত করেন।
চট্টগ্রাম -৭, চট্টগ্রাম বাদীর আবেদন এবং ওই মামলাটি রুজু হওয়ার পর থেকে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সহিত আমলে নিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারের লক্ষে গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। তারই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে, ওই ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় ১নং আসামি মোরশেদ চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন ষোলশহর এলাকায় অবস্থান করছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত মঙ্গলবার আনুমানিক আড়াইটার দিকে বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি মোঃ মোরশেদকে আটক করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামি বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় ১নং পলাতক আসামি বলে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীর সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।