নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া পৌর নির্বাচনে যাচাই-বাছাইয়ে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় বর্তমান মেয়র কেএম জাকির হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ের পথে। শনিবার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানির্ং অফিসার মোঃ আনোয়ার হোসেন মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মোঃ জাকির হোসেন সরকারের প্রার্থীতা বাতিল করেন। এর মাধ্যমে মেয়র পদে তৃতীয় বারের মতো নির্বাচিত হওয়ার পথে কেএম জাকির হোসেন। এ ছাড়া যাচাই-বাছাইয়ে বনপাড়া পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডে লুৎফর রহমান এবং জোয়াড়ী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থী আবদুল জব্বার ও সুলতান মো: শরীফুল ইসলামের মনোয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এদিকে, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ২নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর শরিফুন্নেসা শিরিন এবং মাঝগাঁও ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে দেলোয়ার হোসেনের প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় তারাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাসিব বিন শাহাব বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, যাচাই-বাছাইয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ জাকির হোসেন সরকারের সমর্থনকারীদের ১০০ জনের মধ্যে পাঁচজন ভোটারের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে একজনের নম্বরে অমিল পাওয়া যায়। এর ফলে বিধি মোতাবেক তার মনোনয়পত্র বাতিল করা হয়।
মনোনয়ন বাতিল হওয়া মেয়র প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার বলেন, একজন সমর্থনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর লিখতে গিয়ে ৯ এর স্থলে এক লেখা হয়েছিল। আমি আপিল করবো এবং বৈধতা পাবো বলে আশা করি। মেয়র কেএম জাকির হোসেন বলেন, নির্বাচনে আমিই বিজয়ী হতাম। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর জনসমর্থন নেই। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাকে দাঁড় করিয়েছিলেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা বিধি মোতাবেক বাতিল করেছি। আপিল করলে আপিলকারী কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৯ ডিসেম্বর বনপাড়া পৌরসভাসহ জোয়াড়ী ও মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।