কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নের রোদার পুড্ডার গ্রামের বাক-প্রতিবন্ধী গৃহবধু মোছাঃ বেগম (২২), কে ঘরে তালা বদ্ধ রেখে বাজারে দোকাদারি করছে তার স্বামী আলী হোসেন। এই বিষয় নিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে এলাকাই অভিযোগ উঠেছে। বেগম আলী হোসেনের ২য় স্ত্রী। আলী হোসেনের প্রথম স্ত্রীর তিন সন্তান বেগমের তিন বছরের এক মেয়ে সহ সকলকে বেগম লালন-পালন করে তালা বদ্ধ করে রেখেছেন একটি ঘরে। তার চার মাস ধরেই গ্রাম বাসির নাকের ডগায় এ ধরনের মানব অধিকার লঙ্গনের ঘটনাটি ঘটে আসছে বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। বেগমের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ বিয়ের চার বছর পর থেকে বেগমের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে তার স্বামী আলী হোসেন। এ বিষয়ে এক দল সংবাদকর্মী গেলে দেখা যায় আলী হোসেনের স্ত্রীকে রেখে যাওয়া তালা বদ্ধ রাখা যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে শালিশান মোঃ সাহেদ মিয়া বলেন বহুবার দরবার শালিশ হয়েছে আলীর বিরুদ্ধে। কিন্তু সে কারো কথা তোয়াক্কা করে না। বেগমের মা কান্না করে বলেন আমার মেয়েটা প্রতিবন্ধী বলে দোকানের বাসি বিরানি খাওয়ায়। তার পর জামাতা আলী হোসেন তার মেয়েকে মারধর করেন। বেগমের বাবা সোলাইমান ও আক্ষেপ করে বলেন, মেয়েটি বোবা বলে আলীর প্রথম স্ত্রীর তিন সন্তান রেখে মারা যাওয়ার পরে আমি অনেককিছু দিয়ে আমার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলাম। আর মেয়ের নামে আঠারো শতাংশ জায়গা লিখে দিয়েছি কিন্তু বর্তমানে এই জমি বিক্রয় করে না দিলে আলী হোসেন আমার মেয়েকে কারো সাথে দেখা করতে দিবে না বলে জানায়। আমি এলাকার অনেক গন্যমান্য অনেক ব্যক্তির কাছে আলীর বিরুদ্ধে বিচার চেয়ে ব্যর্থ হয়েছি। জারইতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসমল হোসেন আফরোজ বলেন, একাধিক বার আমি আলীর এ ঘটনা নিয়ে বিচার করেছি কিন্তু আলী কাউকে কর্ণপাথ করে না বলে উল্লেখ করেন। একপর্যায়ে বলেন, এটি একটি মানব অধিকার লঙ্গন।