ধন বণ্টনের দিক দিয়ে ইসলাম ও পুঁজিবাদের মধ্যে একটি মৌলিক পার্থক্য সুস্পষ্ট। তা হলো- ইসলাম সুদ সমর্থন করে না। কিন্তু পুঁজিবাদ তা করে। এ সমস্যার অন্য কতকগুলো দিক আছে। যেমন প্রশ্ন উঠতে পারে-সুদ সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান কী? আসলে সম্পদোৎপাদন পদ্ধতির দিক দিয়ে সুদ নিষিদ্ধকরণ একটা উপকারী এবং সুদূরপ্রসারী ফলপ্রসূ ব্যবস্থা। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত আলোচ্য প্রবন্ধের বিষয়বস্তু নয়। তাই আমরা ইসলামের দৃষ্টিতে শুধু ওইসব প্রতিক্রিয়ার দিকে অর্থবহ ইঙ্গিত করে যেতে চাই, যা ধন-সম্পদ বণ্টনপ্রক্রিয়াকে প্রভাবান্বিত করে। সুদ নিষিদ্ধকরণের সবচেয়ে বড়, সহজ ও নির্ভেজাল ফল হলো, এটা ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বস্তুতে সমতা ও সামঞ্জস্যতা সৃষ্টি করে। সুদভিত্তিক অর্থনীতির প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য হলো- উপাদানের একটি অংশ মানে মূলধনের জন্য নির্ধারিত মুনাফা ধার্য করা। অন্যদিকে অন্য অংশ মানে মুনাফা অনিশ্চিত ও শঙ্কামূলক থাকে। বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমের মজুরির কোনো নিশ্চয়তা নেই। সাধারণত যখন বড় বড় ব্যবসায়ের ঝুঁকি উৎপাদনের উৎপাদিকার অপর্যাপ্ততার দরুন পর্যাপ্ত সীমানায় নেমে আসে, তখন বাহ্যিক উপাদানের দরুন তারা হয় খোদাই করা যন্ত্রস্বরূপ। পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে ধন বণ্টনের সমতা অত্যন্ত সচল, অস্থিতিশীল টলটলায়মান। মাঝেমধ্যে ঋণী ব্যক্তি সাংঘাতিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অথচ ঋণদাতা বা মহাজন অনেক টাকা লাভ করে। আবার মাঝেমধ্যে সংগঠন বহু মুনাফা লাভ করে, অথচ মূলধন বিনিয়োগকারী এর সামান্য অংশই লাভ করে থাকে। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গিতে সুদ অবৈধ বা হারাম, তাই শুধু দুটি পদ্ধতিতেই মূলধন খাটানো যায়-(ক) অংশীদারি ব্যবসায় (খ) সমবায় ব্যবসায়। ধনোৎপাদন ক্ষেত্রে এ দুটি প্রণালীই অসমতাযুক্ত। ব্যবসায়ে লোকসান হলে দুজনকেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে এবং লাভ হলে দুজনই তা সমানুপাতে ভাগ করে নেবে। মূলধন খাটানোর এ পদ্ধতি হলো পুঁজিবাদী অর্থনীতির অনিষ্টকর সম্পদ সমাহরণের পরিপন্থী। এতে ধন-সম্পদ ব্যক্তিগতভাবে সমাজজীবনের প্রতিটি সভ্যের কাছে এমনভাবে বণ্টন হয়ে যায়, যাতে কারো ওপর অবিচার ও অত্যাচার করা না হয়। পুঁজিবাদের মতে, পুঁজিবাদী জাতীয় সম্পদের শুধু বিরাট অংশই নয়; বরং গোটা বাজারের নিয়ন্ত্রণযন্ত্র ও স্বীয় সুদে বড় আস্থাবান। ফলে সরবরাহ ও মূল্য পদ্ধতি প্রাকৃতিক অবস্থায় কাজ করতে সক্ষম নয়। এগুলো পরিবর্তনশীল বলে মানবিক জীবনে প্রভাব বিস্তার করে। সুদ নিয়ন্ত্রণ করে ইসলাম এ কুকর্মের মূলে কুঠারাঘাত হেনেছে। ইসলামের মতে, কেউ মূলধন নিয়োগ করলে লাভ বা ক্ষতির অংশ তাকে বহন করতে হয় এবং এর গুরুদায়িত্বও মাথায় তুলে নিতে হয়। তাকে স্বাধীনভাবে যথেচ্ছাচারী আচরণ করতে দেওয়া হয় না। তথ্যঋণ : ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পদ বণ্টনইসলামের দৃষ্টিভঙ্গিতে সুদ অবৈধ বা হারাম
এফএনএস ধর্মপাতা: ধন বণ্টনের দিক দিয়ে ইসলাম ও পুঁজিবাদের মধ্যে একটি মৌলিক পার্থক্য সুস্পষ্ট। তা হলো- ইসলাম সুদ সমর্থন করে না। কিন্তু পুঁজিবাদ তা করে। এ সমস্যার অন্য কতকগুলো দিক আছে। যেমন প্রশ্ন উঠতে পারে-সুদ সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান কী? আসলে সম্পদোৎপাদন পদ্ধতির দিক দিয়ে সুদ নিষিদ্ধকরণ একটা উপকারী এবং সুদূরপ্রসারী ফলপ্রসূ ব্যবস্থা। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত আলোচ্য প্রবন্ধের বিষয়বস্তু নয়। তাই আমরা ইসলামের দৃষ্টিতে শুধু ওইসব প্রতিক্রিয়ার দিকে অর্থবহ ইঙ্গিত করে যেতে চাই, যা ধন-সম্পদ বণ্টনপ্রক্রিয়াকে প্রভাবান্বিত করে। সুদ নিষিদ্ধকরণের সবচেয়ে বড়, সহজ ও নির্ভেজাল ফল হলো, এটা ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বস্তুতে সমতা ও সামঞ্জস্যতা সৃষ্টি করে। সুদভিত্তিক অর্থনীতির প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য হলো- উপাদানের একটি অংশ মানে মূলধনের জন্য নির্ধারিত মুনাফা ধার্য করা। অন্যদিকে অন্য অংশ মানে মুনাফা অনিশ্চিত ও শঙ্কামূলক থাকে। বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমের মজুরির কোনো নিশ্চয়তা নেই। সাধারণত যখন বড় বড় ব্যবসায়ের ঝুঁকি উৎপাদনের উৎপাদিকার অপর্যাপ্ততার দরুন পর্যাপ্ত সীমানায় নেমে আসে, তখন বাহ্যিক উপাদানের দরুন তারা হয় খোদাই করা যন্ত্রস্বরূপ। পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে ধন বণ্টনের সমতা অত্যন্ত সচল, অস্থিতিশীল টলটলায়মান। মাঝেমধ্যে ঋণী ব্যক্তি সাংঘাতিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অথচ ঋণদাতা বা মহাজন অনেক টাকা লাভ করে। আবার মাঝেমধ্যে সংগঠন বহু মুনাফা লাভ করে, অথচ মূলধন বিনিয়োগকারী এর সামান্য অংশই লাভ করে থাকে। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গিতে সুদ অবৈধ বা হারাম, তাই শুধু দুটি পদ্ধতিতেই মূলধন খাটানো যায়-(ক) অংশীদারি ব্যবসায় (খ) সমবায় ব্যবসায়। ধনোৎপাদন ক্ষেত্রে এ দুটি প্রণালীই অসমতাযুক্ত। ব্যবসায়ে লোকসান হলে দুজনকেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে এবং লাভ হলে দুজনই তা সমানুপাতে ভাগ করে নেবে। মূলধন খাটানোর এ পদ্ধতি হলো পুঁজিবাদী অর্থনীতির অনিষ্টকর সম্পদ সমাহরণের পরিপন্থী। এতে ধন-সম্পদ ব্যক্তিগতভাবে সমাজজীবনের প্রতিটি সভ্যের কাছে এমনভাবে বণ্টন হয়ে যায়, যাতে কারো ওপর অবিচার ও অত্যাচার করা না হয়। পুঁজিবাদের মতে, পুঁজিবাদী জাতীয় সম্পদের শুধু বিরাট অংশই নয়; বরং গোটা বাজারের নিয়ন্ত্রণযন্ত্র ও স্বীয় সুদে বড় আস্থাবান। ফলে সরবরাহ ও মূল্য পদ্ধতি প্রাকৃতিক অবস্থায় কাজ করতে সক্ষম নয়। এগুলো পরিবর্তনশীল বলে মানবিক জীবনে প্রভাব বিস্তার করে। সুদ নিয়ন্ত্রণ করে ইসলাম এ কুকর্মের মূলে কুঠারাঘাত হেনেছে। ইসলামের মতে, কেউ মূলধন নিয়োগ করলে লাভ বা ক্ষতির অংশ তাকে বহন করতে হয় এবং এর গুরুদায়িত্বও মাথায় তুলে নিতে হয়। তাকে স্বাধীনভাবে যথেচ্ছাচারী আচরণ করতে দেওয়া হয় না। তথ্যঋণ : ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পদ বণ্টন