নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দর। আন্তর্জাতিক মানে উন্নত হওয়ার কথা থাকলেও তা আশার মুখে ভাঁটা পড়েছে। তবুও এ বিমানবন্দর থেকে প্রতিদিন বেশ কয়েকটি বিমান চলাচল করছে। এক কথায় লাভজনক বিমানবন্দরে পরিনত হয়েছে এটি।
১১ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯ টায় এভোএয়ার ফ্লাইটে ঢাকার টিকেট ক্রয় করেন এক চিকিৎসক। তিনি যথা নিয়মে আসেন বিমানবন্দরে। এসে করতে থাকেন অপেক্ষা। সাড়ে ৯ টা সময় পার হয়ে যায়। বিমানের কোন খবর নেই। বিষয়টি নিয়ে সচেতন ওই চিকিৎসক যাত্রী কথা বলেন নভোএয়ার সৈয়দপুর ম্যানেজার নাদিম খান বাপ্পির সাথে। তিনি বলেন সাড়ে ১০ টায় বিমান আসবে। এ সময় পেড়িয়ে যায়। পরে আবার বলেন সাড়ে ১২ টা। ওই সময়ও বন্দরে বিমান আসেনি।
এরপর ওই চিকিৎসক যাত্রী উত্তেজিত হয়ে আবার জিজ্ঞাসা করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এভোএয়ার ম্যানেজার বাপ্পি। এক পর্যায় যাত্রীর সাথে বাকবিত-ায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায় যাত্রী এভোএয়ারের ডেক্স ছুড়ে ফেলেন। যাত্রীর সাথে কর্তৃপক্ষের এমন ব্যবহার সহ্য করতে না পেরে এগিয়ে এসে কথা বলেন জসিম উদ্দিন সরকার জুয়েল নামে আরেক যাত্রী। তাকেও করা হয় লাঞ্ছিত। এ বিষয়টি দেখে অন্যান্য যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিমানবন্দরে এ ধরনের ঘটনায় সাধারণ যাত্রীরা ক্ষুব্ধ।
তবে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসা যাত্রী জসিম উদ্দিন সরকার জুয়েল বলেন,আমাকে তারা আটকে রেখেছে প্রায় ৪ ঘন্টা থেকে। অপর যাত্রী ডাঃ শরিফুল ইসলাম এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে নারাজ। বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক সুপ্লব কুমার ঘোষ বলেন, বিষয়টি নিয়ে কি করা যায় তা দেখা হচ্ছে। তবে এ বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে উপস্থিত হন সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি আমিনুল ইসলাম ও সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সাইফুল ইসলাম।
বিকেল ৪ টা ঘটনা স্থলে আসেন সিনিয়র পুলিশ সুপার সৈয়দপুর সার্কেল সারোআর আলম,উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আলম।তাঁদের প্রচেষ্টায় সমস্যার সমাধান হয়।
একটি সুত্র জানায়, নভোএয়ার সৈয়দপুর শাখার ম্যানেজার ও যাত্রীর মধ্যে বাকবিতন্ডার বিষয়টি সুমান ক্ষুন্ন করেছে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের।