লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী গ্রামের প্রবাসী মাইন উদ্দিনের স্ত্রী ফেন্সি আক্তার (৩৫) ও তার মেয়ে আয়েশা আক্তারকে (৭) অপহরণের চারদিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশ শনিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী গ্রাম থেকে অভিযুক্তকে কাউসারকে ধরতে তার বাবা আবুল কাশেমকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
পুলিশ জানান, শনিবার রাতে ফেন্সি আক্তারের স্বামী মাইন উদ্দিন বাদী হয়ে অভিযুক্ত কাউছারসহ দু’জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। তবে এখনো পর্যন্ত অপহৃত মা ও মেয়েকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে সদর থানা ও ভিকটিমের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কাউসার নারী পাচারকারী। ভারতে নিয়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে দালালের মাধ্যমে তিনি নারীদের পাচার করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি প্রবাসী মাইন উদ্দিনের স্ত্রী ফেন্সিকে ভারতে চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে আসছিল। সে ঘটনা ফেন্সি তার স্বামীকে জানায়।
গত ৭ ডিসেম্বর ছুটি শেষে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে কাউসারসহ অভিযুক্তরা প্রবাসীর মেয়ে আয়েশাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে আটকে রাখে। পরে অভিযুক্তরা মোবাইলফোনের মাধ্যমে তাকে আটকে রাখার ঘটনাটি প্রবাসীর স্ত্রী ফেন্সিকে জানায়।
এসময় ৫০ হাজার টাকা দিলে আয়েশাকে ছেড়ে দেবে বলে ফেন্সিকে জানিয়েছে কাউসার। পরে মেয়েকে আনতে গেলে অভিযুক্তরা ফেন্সিকেও জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে ফেন্সির মোবাইলফোন বন্ধ রয়েছে।
প্রবাসী মাইন উদ্দিন বলেন, তার স্ত্রী-মেয়ে কোথায়, কেমন আছে বলতে পারছেন না তিনি। তিনি তাদের সুস্থ অবস্থায় তাদের উদ্ধারের জন্য থানায় মামলা করেছেন। কাউসারের বিরুদ্ধে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে অভিযোগ দেওয়ায় তিনি আমার স্ত্রী-মেয়েকে অপহরণ করেছে। তিনি আরো বলেন,অভিযুক্ত মো. কাউসারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য কল করলে তার দুটি মোবাইলফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো: মোসলেহ উদ্দিন জানান, অপহরণের ঘটনায় থানায় ্একটি মামলা হয়েছে। ভিকটিমদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।