ভোলার দৌলতখানে চোরাই গাভীন গরু জবাই করে মাংস বিক্রির উদ্দেশ্যে বাজারে নেয়ার প্রস্তুতির প্রাক্কালে ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গাভীর মালিক উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মাতাব্বর বাড়ির আবদুর রহিম জানান, শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে চারটার সময় তার স্ত্রী ঘুম থেকে জেগে ওঠে গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখে ৩টি গাভীর মধ্যে ৬ মাসের একটি গাভীন গরু ও একটি বাছুর নেই। খুঁজতে খুঁজতে লোকজন বাড়ি থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে গাভীটি জবাই কৃত অবস্থায় পার্শবর্তী ইউনিয়নের চরখলিফার হেলিপ্যাড সংলগ্ন রত্তন বেপারীর বাড়িতে কসাই রিপনের উপস্থিতিতে পায়। গাভীটি চিহ্নিত করলে এ সময় কসাই রিপন জবাইকৃত মাংস রেখে পালিয়ে যায়। দলিল উদ্দিন খায়ের হাট বাজারে স্থানীয়রা চোরাই গরু বহন করে আনা একটি কাভার্ড ভ্যান ( যার নং- ঢাকা মেট্রো-ন-১৩-৬৩১৯) সহ ২জনকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে টহল পুলিশের দায়িত্বে থাকা এস আই সোলাইমান সংগীয় ফোর্স নিয়ে কাভার্ড ভ্যানসহ রুবেল ও আমান নামে ২জনকে আটক করে। পুলিশ জবাইকৃত গরুর মাংস, একটি গরুর বাছুর জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে। দৌলতখান থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন জানান, এ ঘটনায় স্থানীয়রা কাভার্ড ভ্যান আটক করে থানায় ফোন করলে মোবাইল ডিউটিতে থাকা এস আই সোলাইমান সংগীয় ফোর্স নিয়ে ১টি কাভার্ড ভ্যান সহ রুবেল ও আমান নামে ২জনকে আটক করে। এ ছাড়া জবাইকৃত গরুর মাংস ও একটি গরুর বাছুর জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে থানায় একটি চুরি মামলা রুজু হবে এবং চোরাই গরু ক্রয়- বিক্রির অপরাধে আটককৃত দুইজনসহ কসাই রিপন ও সবুজকেও আসামি করা হবে। এ ছাড়া আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তদন্ত সাপেক্ষে তাদেরকেও আসামি করা হবে। স্থানীয় লোকজন জানায়, উপজেলায় প্রতিদিন অনেক গরু জবাই করা হয়। এসব গরু জবাই করার পূর্বে ও পরে প্রাণী সম্পদ অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্তরা ও স্যানেটারী ইন্সপেকটরের তদারকী করার কথা থাকলেও এ ব্যাপারে তারা অনেকটাই উদাসীন। ফলে অসুস্থ, গর্ভবতী ও চোরাইগরু জবাই করা এসব গরুর মাংস অবাধে বিক্রি করে বাণিজ্য করছে কসাইরা।