জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যুদ্ধাহত এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে পুলিশ লাঞ্চিত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাতে আওনা ইউনিয়নের মেন্দারভেড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান লুলু।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আওনা ইউনিয়নের মেন্দারভেড় গ্রামের যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল গণি খান। তার ছোট ছেলে মোবারক হোসেন রাজাকে আসামি করে গত বৃহস্পতিবার রাতে মামলা দায়ের করে পুলিশ। এর জের ধরে গত শুক্রবার মধ্য রাতে ওই মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে যায় পুলিশ। পুলিশ গিয়ে ঘরের দরোজায় সজোরে আঘাত করতে থাকে। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা আবদুল গণি খান তাদের পরিচয় জানতে চান। পুলিশ তাদেরকে প্রশাসনের লোক বলে পরিচয় দেয়। দরোজা খুলে দিলে পুলিশ ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। রাজাকে খুঁজে না পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল গণি খানকে ধরে থানায় নিয়ে আসতে চায় পুলিশ। আবদুল গণি খান নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বলে পরিচয় দেন।
পরিচয় পেয়ে তারাকান্দি তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) সুলতান তাকে প্রশ্ন করে বলেন, আপনি কিসের মুক্তিযোদ্ধা। কে আপনাকে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট দিয়েছে। শনিবার দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল গণি খান ও তার স্ত্রী মাহমুদা আক্তার কান্নাজড়িত কন্ঠে এমনটাই জানলেন।
মুক্তিযোদ্ধা আবদুল গণি খান বলেন, দেশের মানুষের জন্য জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছি। এই কি তার প্রতিদান। পুলিশ কি করে তার সাথে এমন আচরণ করতে পারে। পুলিশ সদস্যের এমন আচরনে তিনি হতবাক।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান লুলু বলেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চিত করার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্যের প্রত্যাহার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে তারাকান্দি তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) সুলতান বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল গণি খানের সাথে তিনি খারাপ আচরণ করেননি। তিনি তাকে যথাযথ সম্মান দিয়েই কথা বলেছেন।
এ ব্যাপারে তারাকান্দি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (উপ-পরিদর্শক) সরোয়ার জাহান বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা দেশের গর্ব। তাদের সাথে খারাপ আচরণ করার প্রশ্নই উঠে না। তারপরেও কোন পুলিশ সদস্য মুক্তিযোদ্ধার সাথে খারাপ আচরণ করেছে কিনা তার খোঁজ নেওয়া হবে।