মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুল হক মিঠুর সমর্থক কর্তৃক পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুব মিয়ার উপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিঠু সমর্থকদের বাড়িঘরে ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা সোহেব আলীর প্রত্যাহার দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।
সোমবার সকালে হোসেন্দী অর্থনৈতিক অ লের প্রধান ফটকের সামনে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনে স্থানীয় গণমাধ্যমে কর্মীদের সামনে ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তুলে ধরে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। তারা বলেন, রোববার সকালে হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী মাহবুব মিয়ার উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মাহবুব-সহ চারজন আহত হওয়ার দাবি করা হয়। এ ঘটনার সাথে কোন মিঠু সমর্থক জড়িত নয় বলে দাবি করেন তারা। পরিকল্পিতভাবে হামলার নাটক সাজিয়ে হামলার ঘটনাকে পুঁজি করে আশ্রাবদী গ্রামে চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুর সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে অন্তত ১৮টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে মাহবুব সমর্থকরা। নগদ টাকা স্বর্ণালংকার এবং মূল্যবান আসবাবপত্র সহ অন্তত এক থেকে দেড় কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে তারা জানায়।
এদিকে দীর্ঘ তিন ঘন্টা ধরে বাড়ি ঘরে হামলা- ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলেও পুলিশের পক্ষ থেকে তা থামাতে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলা অভিযোগে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা সোহেব আলীর প্রত্যাহার দাবি করেন তারা।
ভুক্তভোগী হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য তোতা মেম্বার বলেন, শুধুমাত্র নৌকার পক্ষে কাজ করায় রোববার দুপুরে তার বাড়ি ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় মাহবুব সমর্থকরা। হামলার ঘটনা যখন চলমান থাকে তিনি বার বার পুলিশের সহায়তা চেয়েছেন কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে কেউ এগিয়ে আসেনি।
আরে ভুক্তভোগী সুলতানা বেগম অভিযোগ করেন, তাদের বাড়ি ঘরের ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলে তারা পুলিশের সহায়তা চান। পুলিশ হামলাকারীদের না থামিয়ে উল্টো তার শিশু পুত্রকে ধরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়।