প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সব রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ করেছি,বিএনপিকেও আমরা একাধিকবার পত্র দিয়েছি, আমাদেও কয়েকটি সংলাপে অংশগ্রহণ করতে, কারণ তারা আগাম স্পষ্ঠভাবেই ঘোষনা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনকে বর্জন করে এবং সরকারকেও বর্জন করে। যেটা আমরা পত্র পত্রিকা থেকে জানতে পেরেছি যে, নির্বাচনের আগেও তারা একটা নির্বাচন কালীন সরকার চান এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব থেকে সরতে হবে, সেই কারণে বিএনপি আমাদেও সাথে যোগাযোগ করছেন না। কিš‘ আমাদের তাদের প্রতি সবসময় আপিল আছে, াাপনারা আসেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন, কারণ সংবিধান অনুযায়ী আমাদেরকে নির্বাচন করতে হবে। আমরা যে কাক্সিক্ষত মাত্রায় গ্রহনযোগ্যতা প্রত্যাশা করি, সেটা বড় বড় দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, নিঃসন্দেহে প্রত্যাশিত মাত্রায় গ্রহনযোগ্যতা খর্ব হবে। সেজন্য আমরা লক্ষ্য করছি সরকারের পক্ষ থেকেও প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। যাতে বিরোধী দল নির্বাচনে আসে। সেটা সরকারের বিষয়, তবে আমরা সেখানে হস্তক্ষেপ করতে পারিনা ,আমাদেও কাজ হলো একটি নির্বাচনের আয়োজন করা।
পটুয়াখালীর সরকারি কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সচিব মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও সচিব জাহাংগীর আলমের দুইদিনের সরকারি সফরের দ্বিতীয় দিনে মতবিনিময় সভা যোগদান করেন।
সকালে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় নির্বাচন কমিশনের সচিব মোঃ জাহাংগীর আলম, পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলামসহ জেলার বিভিন্ন কর্মকর্তা, স্থানীয় ভোটাররা উপস্থিত ছিলেন।
বিকেলে কুয়াকাটা আঞ্চলিক নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রস্তাবিত জমি পরিদর্শন শেষে স্বস্ত্রীক কুয়াকাটা রাত্রি যাপন শেষে শুক্রবার ঢাকার উদ্দেশ্য রওয়ানা করবেন বলে জানা গেছে। এ সফরে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা সফর সঙ্গী
হয়েছেন।