কুয়েত প্রবাসী স্বামী বেলায়েত হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাইক্রো যোগে সেনবাগের গ্রামের বাড়ির মোহাম্মদপুর ইউপির উত্তর রাজারামরপুর গ্রামে ফেলার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস (৩৫) মাইক্রো চালক ইমাম হোসেন (২৫) সহ দুই জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত হয়েছেন প্রবাসী বেলায়েত হোসেন(৪৫), ছেলে সাবের হোসেন (১৪), সাব্বির হোসেন (১০) লিমন হোসেন (৮), শালীকা ফাহমিদা আক্তার (২২), ভাতিজা শরিফ উদ্দিন (৩০) ৬জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে বেলায়েত হোসেন ও তার ছেলে সাবেরের অবস্থা আশঙ্কা জনক। মৃত্যুর সংবাদ গ্রামের বাঢ়িতে পৌছেলে পরিবারের মাঝে চলছে শোকের মাতম
ওই সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সীমান্তের মোহাম্মদ আলী বাজার এলাকায়। আহতদেরকে প্রথমে ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসাধীন ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। নিহত জান্নাতুল ফেরদৌস সেনবাগ উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউপির ১নং ওয়ার্ড উত্তর উত্তর রাজামারপুর গ্রামের সোলেমান খান চেয়ারম্যানের বাড়ির কুয়েত প্রবাসী বেলায়েত হোসেনের স্ত্রী ও মাইক্রো চালক নিহত ইমাম হোসেন (২৫)একই ইউপির দক্ষিন রাজামারপুর গ্রামের ২নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা।
নিহতের আত্মীয়হেদায়েতুল ইসলাম ,পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, বেলায়েত হোসেন ছুটিতে দেশে আসছেন তাঁকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য স্ত্রী,ছেলে,মেয়ে পরিবারের সদস্যরা রাতে মাইক্রো যোগে ঢাকায় বিমানবন্দরে যায়। এরপর ভোরে ঢাকা থেকে ফেরার পথে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মাইক্রোবাসটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোহাম্মদ আলী বাজার এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় মাইক্রোবাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে মাইক্রোবাসটি সড়কের পাশের একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে সড়কের বাইরে ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে চালক ইমাম হোসেন মৃত্যু হয় এবং আহত উদ্ধার করে জান্নাতুল ফেরদৌসকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ফেনীর মহিপাল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত দুজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।