ভোলার দৌলতখানে সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার আজিমুদ্দিন (আরএসডি-২) থেকে নুর মিয়ার হাট পর্যন্ত কোটি টাকারও বেশি ৩ হাজার ৪শত মিটার পাঁকা সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। উপজেলা এলজিইডি কর্তৃপক্ষ জানান, সড়ক নির্মাণের সিডিউল মোতাবেক কাজ করতে হবে। সিডিউলের বাইরে কাজ না করার কোন সুযোগ নেই।
জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রকল্পের আওতায় উপজেলা এলজিইডি অধিদপ্তর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খায়রুল কবির রানা এসএমসি রোড রংপুর প্রতিষ্ঠানের নামে ওয়ার্ক অর্ডার দেন।
সরেজমিন গেলে স্থানীয়রা জানায়, নির্মাণাধীন এ সড়কটি উপজেলার সাথে সংযোগ স্থাপনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এসড়কটি নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষের কাছে তাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। অত্র এলাকায় রয়েছে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাট-বাজার। প্রতিনিয়ত সড়কটি ব্যবহার করছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী। এছাড়াও মালামাল পরিবহনের জন্য ভারী যানবাহন এ রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে জুনায়েদ নামের জৈনেক ঠিকাদার কাজের শুরু থেকেই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সড়কটির নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছেন। এভাবে সড়কটি নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হলে দ্রুত সড়কটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা ব্যাহত হওয়ার আশন্কা রয়েছে। পাশাপাশি ভেস্তে যাবে সরকারি তহবিলের কোটি টাকা। এ বিষয়ে ঠিকাদার জুনায়েদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি দূষলেন মালামালের উচ্চ মুল্যকে।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী শ্যামল কুমার গাঈন জানান, কাজটি নিম্নমানের অভিযোগ ওঠায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সিডিউল মোতাবেক কাজ করার জন্য পর-পর গত ১৫ নভেম্বর ও ১৪ ডিসেম্বর ২ বার অফিস থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।