আবারো বাড়ছে করোনার প্রকোপ। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনায় মানুষ আক্রান্ত হয়। তারপর সারা বিশ্বে তা ছড়িয়ে মহামারী আকার ধারণ করে। হোম কোয়ারেন্টাইন, লক ডাউনসহ নানা উদ্যোগের ফলে করোনা নিয়ন্ত্রিত হলেও ভাইরাসটি বার বার তার ভেরিয়েন্ট চেঞ্জ করায় তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। চলতি বছরের ডিসেম্বরে চীন, জামানি, আমেরিকা আবারো নতুন করে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট আক্রমণ করেছে। রোগীদের চাপে আবারো বেহাল অবস্থা হাসপাতাল গুলোর। মরদেহ সৎকারে বেগ পেতে হচ্ছে কবরস্থানের কর্মীদের। এর মধ্যে চীনের শ্যানডং প্রদেশের কুইংদাও শহরের এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছে, শহরটিতে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। অন্য অনেক শহরের অবস্থাও প্রায় একই। চীনের করোনার ঢেউ ভারতেও লেগেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, সর্বশেষ গত এক সপ্তাহে ভারতে নতুন ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৩০ জন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সবাইকে ম্যাক্স ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছেন। সেই সাথে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং ও থাইল্যান্ড থেকে ভারতে আসা যাত্রীদের ক্ষেত্রে কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তারপরও যদি কারো মধ্যে কোনো রকম উপসর্গ দেখা দিলে বা পরীক্ষায় সংক্রমণ ধরা পড়লে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করা হবে। বাংলাদেশে বর্তমানে সংক্রমণের হার কম হলেও প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশেও সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সর্তক দৃষ্টি রেখেছে।
অন্যদিকে ২০ ডিসেম্বর থেকে করোনা টিকার নিয়মিত কেন্দ্রগুলোতে চতুর্থ ডোজ টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু চতুর্থ ডোজ টিকার ব্যাপারে মেয়াদ উত্তিনতার অভিযোগ উঠেছে। কারণ ফাইজারের টিকার ভায়ালে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ৩০ নভেম্বর লেখা আছে। এজন্য অনেকেই চতুর্থ ডোজ নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এ টিকা আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শে অধিদপ্তর ফাইজারের টিকার মেয়াদ বাড়িয়েছে।
প্রচলিত ধারনায় প্রতিটি ঔষধদের মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ থেকে দু’মাস পর্যন্ত তা ব্যবহার করা যায়। এক্ষেত্রেও তেমনটি বিবেচনা করা হয়েছে। ঘটনা যাই হোক কোভিডের সংক্রমণ থেকে সবাইকে বাঁচতে হবে। কোভিডের কারণে সারা বিশ্বই অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়েছিল। সে পরিস্থিতি আমরা চাই না। আমরা চাই সুস্থ্য সুন্দর জীবন। তাই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক ব্যবহার করে সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিজেদের নিরাপদ রাখি।