আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও শিল্পমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম বিনা মূল্যে বই দেয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। তখন প্রথম বছর ২ কোটি বই পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। তার কারণ যেখানে বই রাখা হয়েছিল। যে সকল কর্মচারী নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন(বিএনপি) বিগতদিনের সরকারের আমলের। আজকে যে বই বিতরণ করা হচ্ছে এটা তো আওয়ামী লীগের সন্তান হিসেবে বিতরণ করা হচ্ছে না। দেশের সন্তান হিসাবে দেশের সন্তানদের বিতরণ করা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে বই বিরতণ করা হচ্ছে। সকল শিক্ষার্থীরা এর সুফল ভোগ করছে।
আমির হোসেন আমু রোববার দুপুরে ঝালকাঠি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত ‘বই উৎসবে’ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। এ সময় তিনি ঠিকমতো লেখাপড়া করার মাধ্যমে নিজেকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার সব সময় তাদের পাশে রয়েছে। যুগোপযোগী শিক্ষানীতিসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে আমাদের ছেলেমেয়েরা এখন বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে।
জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন অতিথিরা। জেলায় এ বছর মোট এক লাখ ৬৪ হাজার ৩৭৩ জন শিক্ষার্থীকে ৬ লাখ ৫৯ হাজার ২৪৫ পিস নতুন বই দেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রাথমিকে ৬২ হাজার ৮৯২ শিক্ষার্থীকে তিন লাখ দুই হাজার ৮৯৫ পিস এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে এক লাখ এক হাজার ৪৮১ শিক্ষার্থীকে তিন লাখ ৫৬ হাজার ৩৫০ পিস বই বিতরণ করা হবে। বছরের প্রথম দিনেই নতুন বই হাতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা। এজন্য তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানায়।
জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুমের সভাপতিত্বে বই উৎসবে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম, জেলা পরিষদ প্রশাসক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন ও ঝালকাঠি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারুফা বেগম।