উত্তরাঞ্চলের মধ্যে পেঁয়াজ উৎপাদনের খ্যাত পাবনার সুজানগরে মৌসুমী পেঁয়াজ আবাদের ধুম পড়েছে। পৌষের হাড় কাঁপানো শীত আর ঘন কুয়াশাকে উপেক্ষা করে মাঠে মাঠে চলছে পেঁয়াজ আবাদ। উপজেলার বড় ও প্রান্তিক থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের কৃষক এখন পেঁয়াজ আবাদে ব্যস্ত।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি পৌষ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে উপজেলার অধিকাংশ মাঠে পেঁয়াজ আবাদ শুরু হয়েছে। আবাদ কার্যক্রম চলবে মাঘ মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৩‘শ ৫০ হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যে স্থানীয় কৃষি শ্রমিকের পাশা-পাশি রাজবাড়ি, ফরিদপুর, সিরাগঞ্জ, নাটোর, কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল এবং মানিকগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার, হাজার কৃষি শ্রমিক পেঁয়াজ আবাদ করতে সুজানগরে এসেছেন। সেই সঙ্গে এলাকার বিভিন্ন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকবিদ্যালয়ের কতিপয় ছাত্ররাও কিছু নগদ টাকা উপার্জনের আশায় পেঁয়াজ রোপণের কাজ করছে। উপজেলার খয়রান গ্রামের পেঁয়াজ চাষী ময়েন উদ্দিন বলেন মৌসুমী পেঁয়াজ আবাদের সময় উপজেলার পেঁয়াজ চাষীদের বাড়িতে বাড়িতে নবান্ন উৎসবের ন্যায় পেঁয়াজ আবাদ উৎসব দেখা দেয়। এ সময় বড় ও প্রান্তিক থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের পেঁয়াজ চাষীদের বাড়িতে শীতকালীন চিতই ও ভাপা পিঠাসহ বিভিন্ন ধরনের ভালমন্দ খাবার আয়োজন করা হয়। ওই সব খাবার গার্হস্থ্যদের পাশাপাশি তাদের আত্মীয়স্বজন ও পেঁয়াজ শ্রমিকরা আয়েশ করে খেয়ে থাকেন। উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বড় পেঁয়াজ চাষী কামরুজ্জামান বলেন, এ উপজেলার একজন প্রান্তিক চাষীও ১০/১৫ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করেন। সেকারণে এ সময় গোটা উপজেলায় নবান্ন উৎসবেরমতো পেঁয়াজ আবাদ উৎসব দেখা দেয়।