রংপুরের পীরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিয়েও মামলা হচ্ছে না রোজিনার। বিচারের আশায় সমাজপতি ও প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন অসহায় এই নারী। অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, উপজেলার চতরা ইউনিয়নের বড় বদনা পাড়া গ্রামের তৌফির উদ্দিনের স্ত্রী রোজিনা বেগমের বিগত ২০০০ সালে বিয়ে হয় দিনাজপুর জেলার ভাদুরিয়া পাকুরিয়া মহেশপুর গ্রামে। বিয়ের পর থেকেই দুই সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করছেন। বাবা রফিকুল মন্ডল বড় বদনা পাড়া গ্রামে বাড়ি করে দেয় এবং করতোয়া নদীর ধারে ১৯৯৪ সালে একই দাগে ২৮ শতক জমির মধ্যে সাড়ে ১৬ শতক জমি মেয়ের নামে লিখে দেয়। অবশিষ্ট জমিরে মধ্যে ১১ শতক জমি একই গ্রামের ইউসুব আলীর দুই ছেলে ফজলু হক ও নজরুলের কাছে বিক্রি করে। রোজিনা বেগম বলেন, তার জমি জালদলিল করে নিয়েছে একটি চক্র। গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর পলাশবাড়ী উপজেলা সুলতানাপুর ভেকি পাড়া তার মেয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে সকাল ১১ টার টোংরার দহ্ বাঁধের উপর ফজলু এবং নজরুলসহ বড় বদনা পাড়া গ্রামের মৃত ইয়াজ উদ্দিনের ছেলে রজ্জব আলী, নজরুল ইসলামের ছেলে হাফিজ মিয়া, হারুন মিয়া,হাসিম মিয়া, ফজলু মিয়ার রবিউল ইসলাম, নিরব মিয়াসহ কয়েকজন মিলে তার পথরোধ করে এবং লোহার রড,লাঠি,দিয়ে মারপিট করে। ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রোজিনা। এদের মারপিটের আঘাতে গোটা শরীর রক্তাক্ত জখম হয়। আক্রমনকারিরা তার স্বর্নালংকার ও অন্যান্য জিনিসপত্রসহ দেড় লক্ষাধিক টাকার মালামাল ছিনিয়ে নেয়। রোজিনা বেগমের অবস্থা বেগতিক দেখে প্রতিবেশীরা তাকে আশংকাজনক অবস্থায় পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। এ ব্যাপারে রোজিনা বেগম পীরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত কোন প্রকার তদন্ত বা মামলা হয়নি বলে তিনি জানান। প্রতিপক্ষের ফজলু মিয়ার পরিবারে সাথে কথা হলে তারা বলছেন, রোজিনা বেগমের বাবা রফিকুল মন্ডল তাদের নিকট ২৮ শতক জমি বিক্রি করেছে। যে কারণে তারা অই জমিতে হালচাষ করছে। ঘটনার দিনে রোজিনা বেগম তার জমি দাবি করায় তাঁকে মারপিট করা হয়। এ বিষয়ে চতরা ইউনিয়ন বিট পুলিশ অফিসার এস আই ফিরোজ মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কার জমি কে পাবে ? সে বিচার আদালত করবে। তবে আসহায় মহিলাকে মারপিট করা ঠিক হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে মামলার নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।