ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে মোল্লাবাড়ি এবং ঝারুর বাড়ির মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছের্।এতে অন্তত ২৫/৩০জন আহত হয়েছেন।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুর ১২টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। সনংঘর্ষে ঘটনা পুরো দুর্গাপুর গ্রাম ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে উভয়পক্ষের মহিলাদেরকে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজনকে সহায়তা করতে দেখা।
প্রত্যক্ষদর্শি এবং পুলিশ জানায়,গত শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর গ্রামের ঝারুর বাড়ির সিএনজি চালক রুহুল আমিন তার সিএনজি নিয়ে দুর্গাপুর গ্রামের সড়কবাজার হয়ে পাশের তাজপুর গ্রামে ভাড়া নিয়ে যায়॥ তাজপুর গ্রামের ভাড়া পৌছে ফেরার পথে একই গ্রামের বারঘরিয়া বাড়ির কাছে আসলে সিএনজি আটকে ঝারুর বাড়ির সিএনজি চালক রুহুল আমিনকে অতর্কিতভাবে মারধর করে। এতে শুক্রবার রাত নয়টায় উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে ঝড়িয়ে পড়ে। গেছে।পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে আধাঘন্টার চেষ্টায় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।এরই জের ধরে শনিবার সকালে দুগ্রুপেরে মধ্যে উত্তেজনা দেখাদেয় এবং উভয়পক্ষের লোকজন যার যার বাড়ির মধ্যে দেশীয় অস্ত্রষস্ত্র নিয়ে ঝগড়ার প্রস্তুতি নিতে থাকে। এমন খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখে এবং আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আজাদ রহমান উভয়পক্ষের লোকজনকে সতর্ক করে যে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলেগেলে পুলিশ কঠোরভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করবে এই কথা বলে অফিসার ইনচার্জ আজাদ রহমান ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার সাথে সাথে শনিবার দুপুর ১২টায় উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে নেমে পড়ে।। এ সময় পুরো দুর্গাপুর গ্রাম দুভাগেবিভক্ত হয়ে সংঘষে জড়িয়ে পড়ে এবং পুরো গ্রাম রনক্ষেত্রে পরিণত হয়।্এত উভয় পক্ষের অন্তত ২৫/৩০ আহত হয়। আহতরা জেলা এবং উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয় চিকিৎসার জন্য।পরবর্তীতে অতিরিক্ত গিয়ে দুপুর দেড়টায় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।তবে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আজাদ রহমান বলেন,বর্তমানে পরিস্থিািত শান্ত রয়েছে এবং যারা সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল তাদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।তবে দুপুে আড়াইটা পর্যন্ত কাউওেক আটক করা যায়নি। পরবর্তীতে যেন পরিস্থিতি অশান্ত না হয় এজন্য ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।