লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে মা-মেয়ে ও ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় স্বামী রাশেদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে পাটগ্রাম থানা পুলিশ।
শনিবার (১৪ জানুয়ারী) বেলা ১২টার দিকে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধার পর নিহত সুমি বেগমের পিতা আজিজুল ইসলাম সুমির স্বামী রাশেদুজ্জামান ও শাশুড়ীকে আসামি করে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা করেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৩ জানুয়ারী) সকালে উপজেলার বুড়িমারী-পাটগ্রাম রেলপথের ঘুন্টি এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মা ও মেয়ে নিহত হয়। এ সময় তৌহিদ নামে দুই বছরের একটি শিশু গুরুতর আহত হয়। নিহতরা হলেন, উপজেলার ধবলসুতি রহমানপুর এলাকার রাশেদুজ্জামানের স্ত্রী সুমি বেগম (২৬) ও তার মেয়ে তাসমিরা তাবাসুম তাসিন (৬)। পরে আহত দুই বছরের শিশু তৌহিদকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সন্ধার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, লালমনিরহাট থেকে বুড়িমারীগামী একটি ট্রেন ঘুন্টি এলাকা পার হওয়ার সময় ট্রেনের নিচে মা ও তার ছেলে-মেয়ে পড়ে যায়। এতে মা সুমি বেগম ও মেয়ে তাসমিরা তাবাসুম তাসিনের মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী আকবার মিয়া বলেন, আমরা ভুট্টা ক্ষেতে কাজ করছিলাম। এ সময় ট্রেন কয়েক বার হুইসাল দেয়। পরে সেখানে দেখি দুইজন কাটা পড়ে মারা গেছেন। আহত শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মা ও মেয়ের মৃত্যুর পর চিকিৎসাধীন ছেলে সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত সুমি বেগমের পিতা আজিজুল ইসলামের দায়েরকৃত মামলায় স্বামী রাশেদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।