কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কান্দাপাড়া দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন উব্দাখালী (বাকলা) নদীর ওপর একটি ব্রীজ নির্মাণের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী জানিয়ে আসছে সরকারের কাছে এলাকাবাসী। এই বাকলা নদীতে ব্রীজটি নির্মিত হলে প্রায় ১০ থেকে ১৫টি গ্রামের জনজীবন যাপনে অনেকটা সুবিধা হবে, খেয়া দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে মানুষ। তাছাড়া হাট বাজার, স্কুল মসজিদ মাদ্রাসা এবং উত্তরে পাকা রাস্তার যানজট ও দূর্ঘটনা এড়িয়ে নিরাপদে যাতায়াত করতে পারবে এলাকার ছাত্র-ছাত্রী ও মানুষেরা। উপজেলার কয়ড়া মোড় থেকে কান্দাপাড়া দাখিল মাদ্রাসা ও নাজিরপুর পল্লী জাগরণ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় প্রতিদিনই ৫ কিঃমিঃ কাঁচা রাস্তা দিয়ে পায়ে হেটে এলাকার মানুষ ও ছাত্র ছাত্রীরা স্কুল মাদ্রাসা হাটে জন প্রতি ১০ টাকায় খেয়া পারাপারে যাতায়াত করে থাকে। এমতাবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা কয়েক দফায় সরকারের কাছে আবেদন নিবেদন করলেও কে শুনে কার কথা, ৭৫ ফুট লম্বা ৫০ হাত প্রস্থ এই খেয়া পারাপারেই তাদের জীবন। ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আসন আলী ও নোমান মিয়া জানান, স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে এলাকার ছাত্রছাত্রী ও মানুষেরা পায়ে হেটে খেয়াঘাট পাড়ি দিয়ে কান্দাপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় ও নাজিরপুর পল্লী জাগরণ উচ্চবিদ্যালয় বাজারে যাতায়াত করে থাকে। বর্ষাকালে আমরা আমাদের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে আতঙ্কে থাকি খেয়াঘাট ও হেমন্তে বাঁশের চাটায়ে পারাপার ভয়ে! কান্দাপাড়া দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রী মহুয়া হাসান জানান, আমরা প্রতিদিনেই এই রাস্তা দিয়ে মাদ্রাসায় আসা-যাওয়া করি, যদি এখানে একটি ব্রীজ হতো তাহলে ভালো হতো, নাজিরপুর পল্লী জাগরণ উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র হানিফ জানান, বর্ষাকালে দূর্গাপুর সুমেশ্বরীর পাহাড়ী ঢলের মাঝেও এই নদী নৌকায় পাড় হয়ে স্কুলে যেতে হয়, এখানে একটা ব্রীজ হলে ছাত্রছাত্রীদের জন্য সুবিধা হতো। বর্তমান নাজিরপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুল আলী বলেন, কতবার শুনেছি চয়েলটেষ্ট হচ্ছে নিজেও কতবার বলেছি কিন্তু কেন যে হচ্ছে না বুঝিনা, এই নদীটির ওপর একটি ব্রীজ জনগুরুত্বপূর্ণ, এলাকাবাসীরও দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী এই বাকলা নদীর ওপর একটি ব্রীজ নির্মাণের জন্য।