গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তীব্র শৈতপ্রবাহ ও হীমেল হাওয়ায় জন জীবন জবুথবু হয়ে পড়েছে।
গত ৫ দিন ধরে উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তীব্র শৈতপ্রবাহ ও হীমেল হাওয়া। ঘনকুয়াশার কারণে সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না। এতে করে মানুষ ঘর থেকে বেড় হতে পারছে না। রাস্তা ঘাটে লাট জ্বালিয়ে যান বাহন চলাচল করছে। খেটে খাওয়া মানুষজন ঘর থেকে বের হতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন। গরম কাপড় অভাবে অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা করছেন। গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে মানুষের প্রচন্ড ভীড়। তবে দাম চড়া। অর্থ্যাভাবে চরাদামে যারা গরম কাপড় কিনতে পারছেন না তারা কাঁথা মোড়া দিয়ে ঘরে বসে অলস জীবন পারি দিচ্ছে। বিশেষ করে উপজেলার ৬ ইউনিয়নের চরাঞ্চলগুলোতে বসবাসকারী মানুষজন তীব্র শীত ও হীমেল হাওয়ার কারণে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন। এ ছাড়া গবাদী পশু পাখির অবস্থাও নাজুক হয়ে পড়েছে। এদিকে তীব্র শীতের কারণে বোরো বীজতলাগুলোতে চারাবীজ ফ্যাকাসে বর্ণ ধারণ করছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে চলতি বোরো মৌসুমে চারা বীজের সংকট দেখা দিতে পারে বলে কৃষকরা মনে করছেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, শীতার্ত মানুষের জন্য এপর্যন্ত ৭ হাজার ৩৫০ টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত গরম কাপড় ও কম্বলের জন্য চাহিদাপত্র সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।