জোটে যদি মোটে একটি পয়সা, /খাদ্য কিনিয়ো ক্ষুধার লাগি'/যদি জোটে অর্ধেকে তার,/ ফুল কিনে নিয়ো, হে অনুরাগী! - এই ফুলকে উপলক্ষ করে দেশের মধ্যে প্রথম ফুল ৩ দিন ব্যাপী উৎসব পালিত হচ্ছে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায়।
ঝিকরগাছার কালের কন্ঠ সাংবাদিকসহ একাংশের সাংবাদিকদের এ অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসন দাওয়াত না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিকবৃন্দ।
যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান বলেছেন, ফুল চাষের কারণে ঝিকরগাছার গদখালী আজ সারাদেশে সুপরিচিত। ফুল চাষ একদিকে এলাকাকে যেমন সমৃদ্ধ করেছে, অপরদিকে সম্ভাবনাও দেখিয়েছে। তাই ফুলচাষ বিকাশে ফুলের বিপণন, উন্নত চাষাবাদ, এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও চাষীদের আর্থিক সহযোগিতাসহ সব বিষয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে 'ফুল চাষকে আরও অনেক দূরে যেতে হবে' উল্লেখ করেন।
তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে ফুলের রাজধানী খ্যাত যশোরের ঝিকরগাছার গদখালীর পানিসারা-হাড়িয়া ফুল মোড়ে তিনদিনের ফুল উৎসব-২০২৩ উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, যশোর স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মো. হুসাইন শওকত, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মনজুরুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মো. মনোয়ার হোসেন ও উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম।
বক্তব্য রাখেন, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন ভক্ত, গদখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান আলী মোড়ল, যশোর ফুল উৎপাদন ও বিপণন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আবদুর রহিম, কৃষাণী সাজেদা বেগম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ফুল চাষে বিশেষ অবদানের জন্য ৯ জন কৃষককে সম্মাননা প্রদান করা হয়। পরে অতিথিবৃন্দ ফুলের বিভিন্ন স্টল ও ক্ষেত ঘুরে দেখেন। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
ঝিকরগাছা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি চৌধুরী আশরাফুজ্জামান বাবু বলেন- উপজেলা প্রশাসন আমাদের দাওয়াত না দেয়ায় আমরা সংবাদ প্রকাশে বিরত থাকছি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল হকের কাছে কালের কন্ঠের সাংবাদিককে দাওয়াত না দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন - আমি তো প্রেসক্লাবের নেতাদের আপনাদের দাওয়াত দেয়ার কথা বলেছি। আপনারা দাওয়াত না পাইলে আমি দুঃখিত।
উপজেলার গদখালী, পানিসারা, নির্বাসখোলা এবং নাভারন ইউনিয়ন ৬৩০ হেক্টর জমিতে ফুল চাষ করা হয়।