যৌতুক লাভী স্বামীর নির্যাতনের বিচার চেয়ে ধারে ধারে ঘুরছেন মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার রায়না বেগম। সরজমিনে জানা গেছে,উপজোলার ১০ নং দক্ষিন ভাগ দক্ষিন ইউনিয়নের গজভাগ গ্রামের মৃত আবদুর রুপ মিয়ার পুএ তছলিম উদ্দিন (৪৩), কাশেমনগর গ্রামের ছায়াদ আলীর মেয়ে রায়না বেগমের (৩৫) এর সাথে এক বছর পুর্বে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
বিয়ের পর তাদের দাম্পত্ত জীবন সুকেই কাটছিল। কিছুদিন যেতে না যেতেই যৌতুক লোভী স্বামী তছলিম মধ্যপ্রাচ্যের কাতার যাওয়ার জন্য স্ত্রীর কাছে দূই লাখ টাকা দাবী করেন। দাবীকৃত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বেকে বসেন তছলিম। কৌতুকের টাকার জন্য প্রতিদিন মদ খেয়ে এসে রায়না বেগমের উপর শারীরিক নির্যাতন চালাতেন। নির্যাতন সইতে না পেরে পিএালয়ে চলে যান রায়না বেগম।
রায়নার গরীব পিতা তাকে বুঝিয়ে স্বামীর কাছে পাটিয় দেন। রায়নারা গরীব তাই এত টাকা জোগার করা সম্ভব নয় বলে রায়না স্বামীকে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু এসব অনুনয় তছলিমের মন গলাতে পারেনি রায়না। টাকার জন্য মরিয়া তছলিম নির্যাতনের মাএা আরো কয়েকগুন বাড়িয়ে দেয়। স্বামীর নির্যাতনের প্রতিকার চেয়ে গ্রাম্য মাতাব্বরদের দারস্হ হন রায়না বেগম। বিষটি মিমাংসার জন্য কয়েক বার সালিশ বৈঠক বসে। কিন্তু রায়না বেগমের যৌতুক লোভী স্বামী তছলিম দুই লাখ টাকার দাবীতে অনড় থাকেন।
রায়না বেগম জানান,সালিশ বৈঠকের পর থেকে তার স্বামী নির্যাতনের মাএা আরো বাড়িয়ে দেয়। যখন তখন যৌতুকের জন্য মারপিটসহ নানাভাবে তাকে শারীরিক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করতে থাকেন।
প্রতিবেশী সুহেল আহমেদ,বদরুল ইসলাম, তাজ উদ্দিনসহ অনেকই বলেন, তছলিম একজন খারাপ প্রকৃতির লোক। যৌতুককের জন্য সব রায়নাকে নির্যাতন করতো।
১০ নং দক্ষিণ ভাগ দক্ষিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো,আজির উদ্দিন বলেন,রায়না ও তছলিমের বিষয়টিকে সুরাহা করতে তিনি কয়েক বার সালিশ বৈঠক করেছেন।
বক্তব্য জানতে তছলিমের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্বামীর নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে রায়না বেগম বাদী হয়ে ২০২২ সালের ২৫ নভেম্বর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বড়লেখা, মৌলভীবাজার বরাবর ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে রায়না বেগম কাশেম নগর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ন্যায় বিচারের আশায় এখন ধারে ধারে ঘুরছেন।