মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে এক স্কুল শিক্ষকসহ তার পরিবারে পাঁচ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার
বালুয়াকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও থানায় মামলা নেয়নি পুলিশ। প্রতিপক্ষের হুমকি-ধমকিতে আতঙ্কে রয়েছে ভুক্তভোগীরা।
আহতরা হলেন,সরকারি প্রাইমারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক সোহেল মিয়া(৩৬), তার মা জাহানারা বেগম(৬৫), সোহেলের ভাই সেলিম মিয়া(৩১), সেলিমের স্ত্রী রেখা আক্তার(২১),তার মেয়ে সবনম(৩)।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়,বাড়ির সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে বালুয়াকান্দি এলাকার সোহেল মিয়া ও মো.হানিফাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।গত শনিবার সন্ধ্যায় সোহেল মিয়ার ছোট ভাই সেলিম মিয়া কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। সে সময় হানিফা কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে সেলিমকে পেটায় খবর পেয়ে সেলিমের স্ত্রী রেখা,মা জাহানারা ও সোহেলরা সেলিমকে বাঁচাতে গেলে সবাইকে বেদম পেটায়।স্থানীয় লোকজন ঘটনা স্থলে গেলে অভিযুক্তারা পালিয়ে যায়।
আহত সোহেল মিয়া বলেন,বাড়ি থেকে বেড় হওয়ার রাস্তা জোর খাটিয়ে দখল করতে চাচ্ছে
মো.হানিফা,তার স্ত্রী শিল্পি বেগম।আমরা রাস্তা বন্ধ করতে নিষেধ করে ছিলাম।যার করনে আমাদের উপর এমন অত্যাচার করা হলো।ঘটনার দিন তারা ১০-১৫ জন বহিরাগত মানুষ ভাড়া করে এনেছিল।ভাইকে বাঁচাতে গেলে পেটে ও পিঠে ছুড়ি দিয়ে পুঁচিয়েছে হানিফারা।মা,ভাতিজিকেও পিটিয়েছে।
আহত সেলিম মিয়া বলেন, আমার দাঁত ভেঙে ফেলা হয়েছে।অন্ডকোষ থেতলে দেওয়া হয়েছে।হানিফারা ভেবে ছিল আমি মরে গেছি।তারা আমাকে পানিতে ফেলে দিয়েছিল।স্থানীয়রা আমাকে বাঁচিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার ৭ দিন পেরি যাচ্ছে।মামলা দিতে গেলে পুলিশ তালবাহানা করছে।এদিকে হানিফারা আমাদের তাদের লোকজন দিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।খুব সঙ্কার মধ্যে আমাদের দিন রাত কাটছে। অভিযোগের বিষয়ে মো.হানিফার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা মোহাম্মদ সোয়েব আলী বলেন এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে । তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।