নোয়াখালীর হাতিয়ায় মৌলভী শফি উল্যাহ এর ১৭তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে,কোরান খতম,আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠান যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে।
শনিবার বিকেলে ফয়েজেন্নেছা নূরানী তালিমুল কোরআন মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের আয়োজনে,বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন হাতিয়া মুক্তিতে সংগ্রাম পরিষদ সদস্য হাতিয়ায় মানব ত্রাণ সংঘের প্রতিষ্ঠাতা,এতিম অসহায় পুনর্বাসনে দক্ষ সংগঠক এতিমবন্ধু মৌলভী শফি উল্যাহ ১৭তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে,সোনাদিয়া ইউনিয়নে ৮ নং ওয়ার্ডে মৌলভী সফি উল্যাহ জামে মসজিদে কোরান খতম,আলোচনা ও দোয়ার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,এ্যাডভোকেট ফজলে আজিম তুহিন,কাশেম মেম্বার, আলহাজ্ব মদিনুল হক,আলহাজ্ব আলতাফ হাজী, মাওলানা শফি উল্যাহ জামে মজিদের খতিব, ফাহিম উদ্দিন, সাংবাদিক জিএম ইব্রাহীম, সাংবাদিক আক্তার হোসেন,সাংবাদিক মোঃ হানিফ উদ্দিন সাকিব
ফয়েজেন্নেছা নূরানী তালিমুল কোরআন মাদ্রাসা ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক, এবং এলাকার ব্যাক্তি বর্গ সহ আরো অনেকে।
আলোচনা সভায় বক্তাগণ তাদের বক্তব্যের মাঝে মৌলভী শফি উল্যাহ জীবনীয় তুলে ধরেন।এসময় তারা বলেন,স্বাধীনতা উত্তর আওয়ামী লীগ এর রাজনীতির প্রথম সারির নেতৃত্ব এর মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। মহান মুক্তিযুদ্ধে হাতিয়ার সংগ্রাম কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা,সংগঠক ও যুদ্ধকালীন হাতিয়া থানার সেচ্ছাসেবকলীগ এর আহ্বায়ক ভূমিকা পালন করেন।তিনি বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার ছিলেন।স্বাধীনতা উত্তর হাতিয়ার রাজনীতি একটি বিশেষ ব্যক্তি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যখন যে ক্ষমতায়,তখন সে দল করার অপরাজনীতির চর্চা থাকলেও তিনি তাতে সম্পৃত হননি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ছাত্রলীগ এ যোগদান করার মাধ্যমে তিনি সরাসরি রাজনীতিতে ভূমিকা রাখা শুরু করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী,চার সন্তান ও তিন মেয়ে রেখে গিয়েছেন।তার মতো ব্যক্তি হাতিয়ায় আর জন্ম নিবে কিনা সন্দেহ। এবং আর পাবোনা এরকম একজন সোনার মানুষ।