নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয়রা।
রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার সামিউল এন্টারপ্রাইজ লালপুর উপজেলার দিয়াড় বাহাদুরপুর মৌজার পদ্মা নদীর বালু মহাল ইজারা নিলেও ইজারাকৃত জায়গায় বালু উত্তোলন না করে উপজেলার লালপুর ও ঈশ্বরদী ইউনিয়নের চর এলাকায় অবৈধভাবে বালু ও ভরাট উত্তোলন বন্ধে এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয়রা।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে লালপুর উপজেলার লালপুর-ঈশ্বরদী প্রধান সড়কের লক্ষীপুর বাজার নামক স্থানে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম স্বপন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, আওয়ামী লীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন সুমন, ঈশ্বরদী ইউনিয়ন যুব লীগের সহ-সভাপতি শুকুর আলী। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অবৈধভাবে বালু ও ভরাট উত্তোলনে বাধা দিতে গেলে সামিউল এন্টারপ্রাইজের সত্বাধীকারী সামিউল ইসলাম গত ১৪জানুয়ারি স্থানীয় ৯ ব্যাক্তির নামে মামলা দায়ের করেন। এই মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তাঁরা।
বক্তরা আরো বলেন পদ্মা নদীর ভূগর্ভস্থ থেকে অবৈধভাবে বালু ও ভরাট উত্তোলনের কারণে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ঈশ্বরদী ইপিজেড, পাকশী হাডিং ব্রিজ, প্রস্তাবিত লালপুর উপজেলার অর্থনৈতিক জোন, নদীর তীর রক্ষা বাঁধ, ফসলি জমি সহ ঘরবাড়ি পদ্মা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করলে তাঁরা সরজমিন পরিদর্শন করেন এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলন সাময়িক বন্ধ হয়। কিন্তু অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে পুনরায় বালু ও ভরাট উত্তোলনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এব্যাপারে সামিউল এন্টারপ্রাইজের সত্বাধীকারী সামিউল ইসলাম জানান, ৫ কোটি ৬৩ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকায় সরকারি বিধি মোতাবেক ইজারা গ্রহণ করি। ইজারাকৃত এলাকার বাহিরে আমি কোন বালু ও ভরাট উত্তোলন করি নাই। কিছু ষড়যন্ত্রকারী আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।