সরাইল প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন্ন উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আবদুল হামিদ। মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খানের সঞ্চালনায় সভাপতি মো. আইয়ুব খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন- জাপা’র কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মো. নোমান মিয়া, ফখরূল আহসান শাহজাদা, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইফতেকার আহসান (হাসান)। বক্তারা বলেন, স্বচ্ছ শিক্ষিত ও সাবেক মেধাবী একজন ছাত্র নেতা আজ আপনাদের আসনে এমপি পদ প্রার্থী। অনিয়ম দূর্নীতি ধান্ধাবাজি তার জানা নেই। দীর্ঘদিন ধরে জাপা’র রাজনীতির সাথে জড়িত আবদুল হামিদ। আপনাদের মহামূল্যবান সমর্থন দিয়ে হামিদকে এমপি নির্বাচিত করূন। এলাকার উন্নয়ন হবে। সমাজও পরিবর্তন হবে। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনই পারে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে জাগ্রত করে রাখতে। বর্তমান সরকারও এর বাহিরে নয়। কারণ সরাইলই হবে সরকারের জন্য টেষ্ট কেইস। ১ ফেব্রƒয়ারির নির্বাচনটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার উপরই নির্ভর করবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভবিষ্যৎ। নির্বাচন কমিশনও অনেক সচেতন। গাইবান্ধা ৫ আসনের নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছতার প্রমাণ রেখেছে। আর নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে সাংবাদিকদের অনেক সুযোগ রয়েছে। প্রেসক্লাবের সম্মানিত সকল সদস্যের কাছে আমরা সেটি প্রত্যাশা করি। আবদুল হামিদ বলেন, লাঙ্গলের পক্ষে এখানে জুয়ার সৃষ্টি হয়েছে। স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও এই আসনের মানুষ অধিকার পাচ্ছেন না। সমগ্র দেশ ডিজিটাল হলেও সরাইলে এখনো অনেক গ্রামে যেতে হয় জমির আইল দিয়ে। ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত সরাইল প্রেসক্লাবের কার্যালয়টি এখনো সরূ। আমি সুযোগ পেলে প্রেসক্লাবের বড় জায়গার ব্যবস্থা করব। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে হামিদ বলেন, আওয়ামী লীগ এই আসনে কোন প্রার্থী দেয়নি। পরবর্তীতে তাদের দলীয় স্বতন্ত্র ৩ প্রার্র্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার আমার নির্বাচনে কোন প্রভাব পড়বে না। আ.লীগের কিছু নেতা কর্মী সাত্তার সাহেবের পক্ষে কাজ করছে এটা সঠিক। আমার পক্ষেও আওয়ামী লীগের অনেক লোক কাজ করছেন। আরো করবেন। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে মৃধা সাহেবকে দল বহিস্কার করেছেন। এখন উনি আর জাপা’র কেউ নন। এই বিষয়টি আমার নির্বাচনকে ক্ষতি করবে না। আমি নির্বাচিত হতে পারলে সমগ্র আসনের উন্নয়ন ও যুবকদের কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করব।