এই দেশে নির্বাচন নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। বিনা ভোটের নির্বাচন হয়েছে। রাতের ভোট হয়েছে। এ গুলো আর চলবে না। কোন সরকার শক্তি ও বিশ্ব সংস্থা ফলাফল প্রভাবিত করতে পারবে না। পাঁচবারের এমপি আপনাদেরকে ঘোড়ার ডিম দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন খাতে উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের রূপকার পলীবন্ধু হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ। এই আসনে এরশাদের দলের মনোনিত প্রার্থী আপনাদের শিক্ষিত ও যোগ্য সন্তান আবদুল হামিদ। কোন বেঈমান মুনাফেককে ভোট না দিয়ে আপনারা আবদুল হামিদকে লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিবেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় সরাইল উপজেলার চুন্টা ঈদগাহ মাঠে জাতীয় পার্টির নির্বাচনী সভায় উপরোল্লেখিত কথা গুলো বলেছেন জাপা’র কেন্দ্রীয় নেতারা। জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. মজিদ বক্সের সঞ্চালনায় চুন্টা ইউপি জাপা’র সভাপতি মো. বাহার উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাপা’র প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ। বক্তব্য রাখেন-প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্রগাম বিভাগীয় অতিরিক্ত সচিব এড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাপার সংসদ সদস্য এড. মো. আবদুল হামিদ, ভাইস চেয়ারম্যান তারেক এ আদেল, চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক উপদেষ্টা এড. নুরূল আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব মো. বেলাল হোসেন, উপজেলা জাপা’র সম্পাদক এমদাদুল হক ছালেক, অরূয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, কালীকচ্ছ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সরাফত আলী ও মো. রহমত হোসেন প্রমূখ। বক্তারা বলেন, যে খেইল হওয়ার হয়ে গেছে। যাদের চলে যাওয়া দরকার সরকার তাদেরকে চলে যাওয়ার পথ করে দিয়েছেন। উনারাও চলে গেছেন। এই আসনে লাঙ্গল পাস করার প্রার্থী। আবদুল হামিদ ভাসানী আপনাদের সন্তান। সে শিক্ষিত ও যোগ্য। তাই প্রত্যেককে ভাসানী হয়ে যেতে হবে। ভোট কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। মনে রাখবেন আর বিনা ভোটে কেউ এই দেশে এমপি হতে পারবেন না। রাতের ভোটের দিনও ভুলে যেতে হবে। অনেকেই বলছেন, ভোট দিলেও থাকবে না। অন্য জায়গায় চলে যাবে। এটা কী মগের মুল্লুক? আমরা কী দেশে ভেসে এসেছি? আমার ভোট আমি দেব। যাকে খুশি তাকে দিব। এই বাংলাদেশ আমাদের সবার। এখানে কিছু করতে আমাদেরকে জবাবদীহী করতে হবে। ইনশাল্লাহ আমাদের প্রার্থীর পক্ষেই রেজাল্ট আসতে হবে। শক্তি দিয়ে কেউ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চাইলে আমরা বসে থাকব না। এখানে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। খেইল যা হওয়ার হয়ে গেছে। সরকার যাদেরকে পাস করাবেন তাদেরকে রেখে দিয়েছেন। আপনারা লাঙ্গলে ভোট দিবেন। শুধু তাই নয়। ভোট রক্ষা করার দায়িত্বও আমাদের। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মহাসচিব প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এখানে থাকবেন। আমরা ইউএনও অফিস ও ডিসি অফিসে থাকব। অরূয়াইল-সরাইল জাতীয় পার্টি করেছে। পাশের ইউনিয়নে গিয়ে এই কথা বললে ভোট নাও দিতে পারেন। সর্বত্র বলতে হবে পল্লীবন্ধু হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ তথা জাতীয় পার্টির নয় বছরের উন্নয়নের কথা। আপনারা জানেন এই দেশে সরকারী ছুটি ছিল রোববার । রোববার খ্রিষ্টানদের উপাসনার দিন। শুক্রবারে অফিস আদালত খোলা থাকত। মুসলমানরা নামাজ পড়তে পারত না। এরশাদ রবিবারের ছুটি বাতিল করে শুক্রবার করেছেন। একজন গরীব মানুষ পবিত্র হয়ে শুক্রবারে জুমআর নামাজ আদায় করলে হজ্জের সওয়াব হয়। রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম করেছেন। হিন্দু ও খ্রিষ্টানদের জন্য কল্যাণ ট্রাষ্ট করেছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে বই ও মেয়েদের উপবৃত্তির ব্যবস্থা করেছেন। উপজেলা ব্যবস্থার প্রবর্তন করেছেন। জল যার জলা তার, গার্মেন্টস-এর উন্নয়ন, বিদেশে সৈন্য প্রেরণ, ভূমি সংস্কার, ঔষধনীতি ও অবকাঠামো উন্নয়ন এরশাদেরই করা। এখানের ভোটের লড়াই হচ্ছে ‘বেঈমানের সাথে ঈমানদারদের লড়াই’। দয়া করে এই লড়াইয়ে কোন বেঈমান মুনাফেককে ভোট দিবেন না। লাভ হবে না। বিগত দিনে এখানে যারাই এমপি হয়েছেন তারা কোন কাজই করেননি। ৫ বার, ৭ বারের এমপি হয়ে লাভ কী? যদি উন্নয়ন হয় ঘোড়ার ডিম। তাই আপনারা তার দলের প্রার্থী আবদুল হামিদকে ভোট দিয়ে জাপা ও এই এলাকার মানুষের স্বপ্ন পূরণের সুযোগ দিবেন।