চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে সংসদীয় ৪৪ চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ( গোমস্তাপুর, নাচোল, ভোলাহাট ) আসনের ১ ফেব্রুয়ারী উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকার নৌকার কর্মী সমর্থকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে। মঙ্গলবার বিকেলে রহনপুর পুরাতন বাজাস্থ প্রার্থীর বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য দেন তাঁর ছেল ও আপেল প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আহসান উদ্দীন সরকার। তিনি আপেল প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা,কর্মীকে মারধর ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের আড্ডা বাজার,জিনারপুর বাজারে ও রাধানগর ইউনিয়নের ডুবারমোড়ে আপেল প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে ও রাতের অন্ধকারে নামিয়ে ফেলেছে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মু. জিয়াউর রহমানের স্থানীয় কর্মীরা। বোয়ালিয়া ইউনিয়নে বিভিন্ন জায়গায় একই ঘটনা ঘটায়। গত ২২ জানুয়ারি ভোলাহাট উপজেলার জামবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়গাছী বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী সাবেক ইউপি সদস্য আবদুস সামাদ পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এ ছাড়া ২৩ জানুয়ারি আড্ডা বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকার তাঁর কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গণসংযোগ করেন। পরে রহনপুর আসার পথে তাঁর কর্মী হাবিবুল্লাহকে আওয়ামীলীগকর্মী মেহেদী হাসান,আনারুল ও মিলন অতর্কিত হামলা চালিয়ে জখম করে। পরে তাঁকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তিনি ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে এই নির্বাচনী এলাকায় আপেল প্রতীকের কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন। নির্বাচন ঘনিয়ে আশার পূর্বমুহুর্তে নৌকা প্রতীকের কর্মী ও সমর্থকরা পর্যায়ক্রমে ভিতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে। একের পর এক কর্মকা- তাঁরা ঘটিয়ে চলছে। এসব অভিযোগ এনে মঙ্গলবার সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন বলে তিনি জানান। সংবাদ সম্মেলন তাঁর কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে আওয়ামলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মু.জিয়াউর রহমান বলেন, অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা,বানোয়াট। শ্রীঘই সংবাদ সম্মেলন করে আমার বক্তব্য দিবো।