বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, আরাফাত রহমান কোকো কোনো রাজনীতিবিদ ছিলেন না, রাজনীতির সঙ্গে সস্পৃক্ত ছিলেন না। কিন্তু তার প্রতি মানুষের যে ভালোবাসা, সেটা আমরা দেখেছি তার মৃত্যুর পরে। একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তির জানাজা এত বড় হয় তা বাংলাদেশের ইতিহাসে আছে কি না আমার জানা নেই। মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। টুকু বলেন, এই বিমানবন্দর থেকে হেঁটে হেঁটে লাখো মানুষ গুলশান, গুলশান থেকে বায়তুল মোকাররম এসেছিলেন। এতেই প্রমাণ হয় বাংলাদেশে সবচেয়ে প্রিয় পরিবার হচ্ছে জিয়া পরিবার। সবচেয়ে প্রিয় সন্তান হলো জিয়া পরিবারের সন্তান। এই বিএনপি নেতা বলেন, আমরা দেখেছি, জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার সন্তান হওয়ায় ১/১১ এর পরে তার ওপর যে নির্যাতন করা হয়েছিল, সেই নির্যাতন ছিল অমানবিক। আর ওই সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও নির্যাতন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশে যে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম আছে, এই স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য আরাফাত রহমান কোকো কাজ করে গেছেন। বিদেশ থেকে ঘাস এনে প্রত্যেকটা স্টেডিয়ামে লাগিয়েছেন। আর আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়ামের করতে তিনি সবকিছু করেছেন। এই ইতিহাস কেউ লিখবে না। টুকু বলেন, আজকে বাংলাদেশে যে ক্রিকেট, এই ক্রিকেটের মানোন্নয়নের জন্য যে কাজ আরাফাত রহমান কোকো করে গেছেন, তারওপর বাংলাদেশের ক্রিকেট দাঁড়িয়ে আছে। এটা ইতিহাসে লেখা থাকে না। বাংলাদেশের এই ইতিহাস বিকৃতির সময়ে আরাফাত রহমান কোকোর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে অবদান তা লেখা থাকবে না। দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি নেতা আহমেদ আজম খান, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, শিরিন সুলতানা, বেলাল আহমেদ, নাজিম উদ্দিন আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।