গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন তিন নারী প্রার্থী। এই তিন নারী মেয়র প্রার্থীরা হলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক প্রয়াত নারায়ন চন্দ্র দামের স্ত্রী উপজেলা পূজা উদয়াপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লীলা দাম, উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক সাবানা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নার্গিস সুলতানা।
তফসিল ঘোষনার পরে এই তিন নারী মেয়র প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ^াস ও সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখের কাছে তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।
এছাড়াও বর্তমান পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী কামাল হোসেন শেখ, সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়মী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ এম অহিদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান হাজরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল খালেক হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এস এম হুমায়ুন কবির, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদার,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন খান, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্যানেল মেয়র এস এম মিজানুর রহমান মিঠু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমান মুকুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. মোঃ আলীউজ্জামান শেখ, ব্যবসায়ী কমল সেন,জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লীলা দাম বলেন, আমার স্বামী কোটালীপাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও বিশিষ্ট ঠিকাদার ছিলেন। তিনি কোটালীপাড়া উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন ও সেবামূলক কাজ করেছেন। তিনিও দীর্ঘদিন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সে এই পৌরসভার মেয়র হওয়ার স্বপ্ন দেখে ছিলেন। আজ সে বেঁচে নেই। তাই আমি তার স্বপ্নপূরণে মেয়র হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাচ্ছি। আমি যদি মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হতে পারি তাহলে স্মার্ট পৌরসভা গঠনসহ নারী উন্নয়নে কাজ করবো।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে যে সকল প্রার্থীরা আমাদের কাছে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন আমরা সেই সকল প্রার্থীদের জীবনবৃত্তান্ত জেলা কমিটির কাছে প্রেরণ করেছি। জেলা কমিটি এটি কেন্দ্রে পাঠাবে। কেন্দ্র যাকে যোগ্য মনে করবে তাকেই মনোনয়ন দিবে। আর যাকে মনোনয়ন দিবে আমরা সকলে মিলে তার নির্বাচন করবো।
এদিকে তফসিল ঘোষনার পরেও এ উপজেলায় আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোন দলের নেতা কর্মীদের নির্বাচনী মাঠে দেখা যায়নি। এমনকি আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোন দলের সম্ভব্য মেয়র প্রার্থীর পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনও চোখে পড়েনি।
উল্লেখ্যঃ ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২০ মার্চ ইভিএম এর মাধ্যমে এ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।