রংপুরের পীরগঞ্জে আদালতের চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও কোর্টের আদেশ পেয়েও জমিতে আবাদ করতে পারছেন না বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলজার হোসেন।বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া লিখিত অভিযোগের বিবরণে জানা গেছে,বেদখল হয়ে যাওয়া ২ একর ৯৬ শতক জমি উপজেলা প্রশাসন উদ্ধার করে দিলেও নিজ দখলে নিয়ে চাষাবাদ করতে পারছেন না তিনি। বর্ণিত সম্পত্তি পেশী শক্তির জোরে জবর দখল করে রেখেছে তারই ছোট ভাই আফজাল হোসেন। উপজেলা ভুমি কর্মকর্তা বর্নিত জমি দখলে নিয়ে গোলাজার হোসেনকে বুঝে দেয়। এরপর পর টানা তিন বছর ধরে জমিগুলেঅতে কোন প্রকার আবাদ করতে দিচ্ছেনা আফজালগংরা। যে কারণে উর্বর ওই আবাদি জমিগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। উল্লেখ্য,টুকুরিয়া ইউনিয়নের গোপীনাথপুর মৌজার জেএল নং- ৩৪, খতিয়ান নং- ৪৮৬, দাগ নং- ০৬, জমির পরিমাণ- ১ একর ৫ শতক, দাগ নং- ৩৭, জমির পরিমাণ- ৫০ শতক, দাগ নং- ৬৬, জমির পরিমাণ- ১০ শতক, দাগ নং- ৬৪, জমি পরিমাণ- ৫৭ শতক, দাগ নং- ৬৯, জমির পরিমাণ- ১৫, মোট জমির পরিমাণ- ২.৩৭ একর। দীর্ঘদিন ধরে গোলজার হোসেনের সাথে তার ভাই আফজাল হোসেন ভাতিজাদের সাথে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। অপরদিকে নিরুপায় হয়ে মুক্তিযোদ্ধা তার জমি উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দেন।অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর নির্দেশনায় বর্ণিত গোলজার হোসেনের বেদখল হওয়া জমি গুলো উদ্ধারের জন্য বিগত ২০১৯ ইং সালে উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ প্রদান করা হয়। এদিকে প্রতিপক্ষ ভাই আফজাল ও ভাতিজারাসহ ওই গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত: আকবার আলীর পুত্র বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলজার হোসেন মন্ডলের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হেনেস্তা করতে থাকে। অন্যদিকে গোলজার হোসেন মন্ডল রংপুর কোর্টে মামলা করেন যার মামলা নং- ৩০৫/৮৪,এতে তিনি চিরস্থায়ী নিশেষজ্ঞাসহ বিবাদীদের বিরুদ্ধে রায় পান ২৪/০৪/১৯৯৫ইং সালে। রায় পাওয়ার পরেও দীর্ঘ ২৭ বছর অতিবাহিত হলেও তিনি ওই জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন না। তার আরেক ভাই আজিজার রহমান বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেন মামলা নং- ৬৬/৯৫। ভাতিজা নুরুন্নবী মিয়া পিআর ১১০/১৭ জালিয়াতি ও জাল দলিলের উপর মামলা করেন। যা পিপিই ও সিআইডির উপর তদন্ত দেয়া হয়। ওই মামলার কাগজপত্র গোলজার হোসেনের পক্ষে থাকায় ১৫/১২/২০২০ সালে খারিজ করে দেন। অভিযুক্ত বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলজার হোসেন বলেন- স্বাধীন দেশে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের এ অবস্থা হতে পারে না। আপন ভাই ভাতিজারা আমার জমি জবর দখল করে ভোগ করছে। বেদখলীয় সম্পত্তি গুলো আইনগতভাবে উদ্ধার করার পরেও আমি দখলে নিতে পারছি না। এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জাকির হোসেন জানান ইতিমধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থল তদন্ত করেছে। তবে তাদের দুই ভাইয়ের বিরোধ দীর্ঘদিনের।