নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলায় বোরো মৌসুমে বিদ্যুতের অভাবে সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। গড়ে পাঁচ ঘণ্টা করেও বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না তারা। এতে বোরো আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা ১৭ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর। এ উপজেলার কৃষকরা জানান, দিন-রাতে ৪ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না পাওয়ায় কৃষকেরা বোরো জমিতে সেচ দিতে পারছেন না। বিদ্যুৎ পাওয়ার অপেক্ষায় সারাদিন জমিতে বসে থাকতে হচ্ছে তাদের। এভাবে চললে বোরো ধান ঘরে তুলতে পারবেন কি না,এ নিয়ে তারা শঙ্কিত। কৃষক দ্বীন ইসলাম বলেন,লোডশেডিংয়ের কারণে গ্রামের সব কৃষক বোরো আবাদ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। রাতে অল্প বিদ্যুৎ থাকলেও দিনের বেলায় থাকে না বললেই চলে। যেটুকু সময় পায় কে আগে কার জমিতে পানি দিবে তা নিয়ে ঝামেলা লেগে যায়। গত চার দিনে আমার পাঁচ কাটা জমি ভেঁজাতে পারেনি। কৃষক নেয়ামত হোসেন বলেন,আমরা কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমাদের অন্য কোনো কাজ নেই। এখন বিদ্যুৎ এর অভাবে সেচ দিতে পারছি না। চাষাবাদ না করতে পারলে পরিবার নিয়ে কষ্টে পড়তে হবে। বেশি সময় বিদ্যুৎ পেলে আমাদের এ কষ্ট দূর হতো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, এবার বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরা ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা ১৭ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর। এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার হেক্টরের মতো রোপন করা হয়েছে। তবে বিদ্যুতের অভাবে সেচ না দিতে পেরে কৃষকেরা চিন্তিত। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখবেন বলে জানিয়েছিলেন কিš‘ স্বাভাবিক বিদ্যুৎ না পেয়ে গতকালও অনেকজন কৃষক আসছিলো আমাদের কাছে লক্ষমাত্রা পূরন হবে কিনা সন্দেহ।
দুর্গাপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ দিলওয়ার হোসেন জানান,আমরা যতটুকু বিদ্যুৎ সরবরাহ পেয়ে থাকি তার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ বিতরন করা সম্ভব হচ্ছেনা। চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ না পেয়েই আমাদের লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় তিন ভাগের এক ভাগ বিদ্যুৎ দিতে পারছি আমরা।