কেউ যাতে অবৈধভাবে বিদেশ যাওয়ার পথে না বাড়ায় সেব্যাপারে জনগণকে সচেতন করাসহ জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) বেশকিছু নির্দেশনা নিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। বৃহস্পতিবার ডিসি সম্মেলনে তিনি এসব নির্দেশনা দেন। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনের এই ডিসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মঙ্গলবার শুরু হওয়া সম্মেলনের শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। ৬৪ জেলার ডিসি এবং আট বিভাগীয় কমিশনার এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। ডিসি সম্মেলন থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, অবৈধভাবে অনেকে বিদেশে যায়। এতে তারা হয়রানির শিকার হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এভাবে যেন না যায় সে জন্য সচেতন করার কথা বলা হয়েছে ডিসিদের। এ ছাড়া প্রবাসীদের বাড়ি দখল হয়ে যায়। তারা হয়রানির মুখে পড়েন। মামলায় কেউ কেউ জেলেও গেছেন। এসব ক্ষেত্রে প্রবাসীদের সুরক্ষা দিতে হবে। পর্যটন এলাকার নিরাপত্তা ও সুরক্ষা তদারকি নিয়ে কথা হয়েছে। তিনি আরও বলেণ, আর একজন রোহিঙ্গাও নেবে না বাংলাদেশ। তবে সমস্যায় আছে তারা। আমাদের এখনকার নীতি হলো আর কোনো রেহিঙ্গা নেওয়া হবে না। এটা একটা সমস্যা। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করতে হবে। তাদের অবশ্যই যেতে হবে। সীমান্তে হত্যার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ে মতৈক্য হয়েছে। একটা লোকও সীমান্তে মরবে না। এরপরও দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। এদিকে বাংলাদেশ নতুন করে আর একজন রোহিঙ্গাকেও নেবে না (আশ্রয় দেবে না) বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা খুব কঠিন সময়। আমাদের পলিসি হচ্ছে আমরা আর একটাও রোহিঙ্গা নেবো না। কিন্তু আমরা তো ওদের মারতে পারি না। রোহিঙ্গারা আবারও বাংলাদেশে ঢুকছে- এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা খুব কঠিন সময়। আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবস্থান নিয়েছে আমরা এদের নেবো না। কিছুকিছু (রোহিঙ্গা) যখন আসে তখন আমরা চেষ্টা করি তা ম্যানেজ করার। তিনি বলেন, আমরা মিয়ানমার সরকারকে বলেছি তোমরা তোমাদের লোকগুলোর একজনকেউ পাঠাবে না। কিন্তু (বিষয়টি) তাদেরও ক্ষমতার বাইরে। ওখানে সংঘাত হচ্ছে, বাড়িঘর জ্বালিয়ে ফেলছে, ভয়ে তারা (রোহিঙ্গারা) পালাতে চায়। এ কে আবদুল মোমেন আরও বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধান কী এখনো তা আমি জানি না। আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে তারা অবশ্যই তাদের দেশে ফিরে যাবে। আমাদের এক নম্বর অবস্থান তাদের প্রত্যাবর্তন করতে হবে। মিয়ানমার বলেছে তাদের লোকগুলোকে নিয়ে যাবে। কিন্তু আজ ছয় বছর চলছে একটা লোককেও তারা নেয়নি। তাদের মধ্যে আন্তরিকতার অভাব আছে, কিন্তু আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে আমার কাছে কোনো সমাধান নেই, যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।