তেঁতুলিয়ায় বারি জাতের সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় তেঁতুলিয়া চলতি মৌসূমে সরিষা জাত বারি-১৪ প্রায় ৩৫০ হেক্টর, সরিষা জাত বারি- ১৫ প্রায় ৫০ হেক্টর, সরিষা জাত বারি -১৭ প্রায় ৩০ হেক্টর ও সরিষা জাত বারি-১৮ প্রায় ৭০ হেক্টর সহ অন্যান্য জাতের সরিষা আবাদ মিয়ে প্রায় ৭ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদ হয়েছে। দেশীয় উচ্চ ফলনশীল বারি সারিষা জাতগুলোর বাম্পার ফলন হয়েছে। অনেক সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌসূমি মৌয়াল বাক্স রেখে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহ করছে। সরিষা ক্ষেতের হলুদ ও সবুজ চিত্রপট যেনো গ্রাম-বাংলাকে নতুনরূপে সাঁজিয়েছে। এই সরিষা ক্ষেতের পাশ দিয়ে হেঁটে যাবার সময় ফুলের ডগায় মৌমাছির গুণগুণ শব্দ যেনো মনকে মাতিয়ে তুলে।
এদিকে তেঁতুলিয়ার সমতল ভূমিতে বেশিভাগ জমি সবুজ চা বাগানে পরিপূর্ণ হয়েছে। ফলে স্থানীয় দেশি নানা জাতের রবিশষ্য বেগুন, আলু, সীম, পাতা কপি, ফুলকপি, লালশাক, ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসলের চাষাবাদ ইতোমধ্যে অনেকাংশে কমে গেছে। চা চাষের প্রভাবে একসময়ের আর্থিক ফসল আখ চাষাবাদ উঠে গেছে। আখ চাষবাদ না হওয়র ফলে পঞ্চগড় জেলার একমাত্র সুগার মিলস লিমিটেডে আখ মাড়াই বন্ধ হয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার জাহাংগী আলম এ প্রতিবেদকে বলেন, অত্র উপজেলায় বেশি ভাগ চাষী চা বাগান চাষাবাদে ব্যস্ত। চা বাগান সৃজনের ফলে এলাকার কৃঘি জমি কমে গেছে। তবু নানা প্রতিকূলতার মাঝেও তেঁতুলিয়া উপজেলায় চাষিদের কীটনাশক, সার, ইত্যাদি চাষীদের মাঝে বিনামূলে প্রদান করা হয়েছে। এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় একরে ২৮-৩০ মন করে ফলন পাওয়ার যাবে।