কুমিল্লার হোমনায় বাজারের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুগ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। বাজার কমিটির সভাপতি মো. আক্তার উদ্দিন প্রধান ও স্থানীয় মো. আবু তাহের গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পার্শ্ববর্তী উপজেলা মুরাদনগর ও ঢাকায় চিকিৎসাধীন। রোববার সকাল এগারোটার দিকে উপজেলার চান্দেরচর ইউনিয়নের বাগসিতারামপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে বাগসিতারামপুর বাজারে একটি ওয়াজ মাহফিল চলাকালে পাশের একটি দোকানে আক্তার উদ্দিন প্রধান এবং আবু তাহেরের মধ্যে বাজারের সভাপতির পদ নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়। এ সময় দুজনের মধ্যে বেশ উত্তেজনা সৃষ্ঠি হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। রোববার সকাল দশটায় এ ঘটনার সালিশ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সময়মত সে বৈঠকও বসেছিল। বৈঠক চলাকালীন দুই গ্রুপের লোকজন পুনরায় বাকবিত-ায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে একে অপরের ওপর আক্রমণ করলে পরিস্থিতি সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। মো. শাহাবুদ্দিন (২৪), জজ মিয়া (৬৫), মো. দুলাল মিয়া (৪২), রোমান মিয়া (২৮), সজিব (২৪), খোকনকে (২৫) হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি এবং ইসমাইল হোসেন ফিটু (৫০), জাকির হোসেন (৫০) ও মো. দেলোয়ারকে (৩০) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ রানা বলেন, মূলত বাজারের সভাপতির পদকে কেন্দ্র করেই শনিবার রাতে মাহফিল চলাকালিন আক্তার উদ্দিন প্রধানের সঙ্গে আবু তাহেরের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনারই সমাধানের জন্য আজ (রোববার ) সকালে বাগসিতারামপুর বাজারের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এতে আবারও দুই জনের লোকজনের মধ্যে বাকবিত-া ও পরে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৫ জনের মতো আহত হয়। আহতদের কয়েকজন হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বাকীরা মুরাদনগর চিকিৎসা নিতে চলে গেছেন।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হক বলেন, শনিবার রাতে ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্য নিয়েই উত্তেজনা হলে রোববার সকালে বিচার সালিশের কথা ছিল। সেই বিচারের মধ্যেই মারামারির ঘটনা ঘটেছে। ইসমাইল হোসেনই এই ঘটনার মূল হোতা।
এব্যাপারে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, বাজার কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়েই এ মারামারির ঘটনা। ঘটনা শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছেন। ৮-৯ জন আহত হয়েছে। এখনও কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।