গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. মোশারফ হোসনে শুক্কুরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীসহ একাধিক মামলার করার সংবাদ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে থানায়ও লিখিত অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরী হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধ্যানে জানা যায়, রাজধানী ঢাকার বাটারা থানাধীন বসুন্ধরা এলাকার মো. মোবারক হোসনেরে ছেলে মো. মাহবুব হোসেন কালীগঞ্জ উপজেলার বাঘারপাড়া এলাকায় টঙ্গী ঘোড়াশাল মহাসড়কের পাশে ভিআইপি ডোর এ- র্ফানিচার ফ্যাক্টরী স্থাপন করিয়া ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। মো. মাহবুব হোসেন গত ৩০ ডিসেম্বর আনুমানিক সময় সকাল ১০টার দিকে নির্মাণ কাজ করতে গেলে কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পৌরসভার ৭নং ওর্য়াড বাঘারপাড়া এলাকার মৃত আবদুল মোমিন এর ছেলে মো. মোশারফ হোসনে শুক্কুর (৫০), শরফত আলী ভূইয়ার ছেলে আলম ভূইয়া (৫৮), দেলোয়ার হোসেন ভূইয়ার ছেলে পরাগ ভূইয়া (২৪), আয়নাল ভূইয়ার ছেলে নীরব (২৩) ও আলম ভূইয়ার ছেলে মাছুম ভূইয়া (২৮) সহ অজ্ঞাত ৫/৭জন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ফ্যাক্টরীতে অনাধকিার প্রবেশ করিয়া মো. মোশারফ হোসেন শুক্কুর, আলম ভূইয়া ও পরাগ ভূইয়া ১০ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করনে। ওই টাকা দিতে অস্বীকার করলে আয়নাল ভূইয়ার ছেলে নীরব মাহবুবকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চাপিয়া শ্বাসরোধ করে সকলে মাহবুবের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারী মারপিট করে। এ সময় তাহারা ফ্যাক্টরীর প্রায় ৫০ হাজার টাকার গ্লাস ভাংচুর করেন। মাহবুব স্থাণীয়দের সহযোগীতায় আত্মরক্ষা পেলেও তাদের দাবীকৃত চাঁদা না দিলে তাকে এখানে ব্যবসা করতে দিবেনা প্রয়োজনে মাহবুবকে জীবনে শেষ করিয়া ফেলার হুমকি প্রদান দিয়ে যান। এ-সংক্রান্ত বিষয়ে গত ৫ জানুয়ারী তারিখে মো. মাহবুব বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-২, গাজীপুরে সি আর মামলা ১৪/২০২৩ দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তনাধীন রয়েছে।
গত ২০ জানুয়ারী মাহবুব হোসেন ব্যক্তিগত গাড়ীযোগে ফ্যাক্টরীতে পৌছলে উল্লিখিত বিবাদীসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন পূর্ব শক্রতার জের ধরে তার গাড়ীর গতিরোধ করে তাকে শারীরিক নির্যাতনসহ অশালীন ভাষায় গালমন্দ করে আদালতে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি প্রদান করেন। পরে মামলার বাদী মাহবুব হোসেন কালীগঞ্জ থানায় মোবাইল ফোনে বিষয়টি অবহতি করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে উদ্ধার করে মাহবুব হোসেনকে থানায় নিয়ে আসেন। পরে তিনি বাদী হয়ে এ বিষয়ে গত ২২ জানুয়ারী তারিখে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
কালীগঞ্জ থানার উপণ্ডপরির্দশক মাজহারুল বলেন, আমি খবর পেয়ে গঠনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি বাদি মাহাবুব হোসেন তার ফ্যাক্টরী গেটের সামনে গাড়ীর ভিতরে বসা। বিবাদীরা তাকে গালাগালি করিতেছে। আমি উপস্থিত হলে মাহবুব তার গাড়ি থেকে বাহিরে আসেন। তখন বিবাদীরা তার গায়ে হাত তুলে। বিবাদীরা তার গায়ের গেঞ্জি ছিরে ফেলে। আমি মাহবুব হোসেনকে বিবাদীদের কাছ থেকে উদ্ধার করে আনলে তিনি নিজে গাড়ি চালিয়ে থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করেন। বিষয়টি তদন্তনাধীন।
অন্যদিকে কালীগঞ্জ এলাকার চৌড়া গ্রামের মৃত কছুমদ্দিনের ছেলে মো. জাকির হোসেন ভিআইপি ডোর এ- ফার্নিচার ফ্যাক্টরীর পরিচালকের উপর হামলার অভিযোগে স্থাণীয় ভাবে সালিশ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাকির সভায় ন্যায় সঙ্গত কথা বলায় গত ২৫ জানুয়ারী বিকেল আনুঃ সারে ৫টায় মো. মোশারফ হোসনে শুক্কুর, আলম ভূইয়া, পরাগ ভূইয়া, নীরব, শরীফ ও মাছুম ভূইয়া তাকে একা পাইয়া অশালীন ভাষায় গালমন্দ করে। তাদের ন্যায় সঙ্গত প্রতিবাদ করায় তারা জাকির হোসেনকে শারীরিক নির্যাতন চালায়। এ সময় তার পকেটে থাকা ৫২ হাজার ৩ শত টাকা জোরর্পূবক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় জাকির হোসেন বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার উপণ্ডপরর্দিশক শামীম আহমেদ বলেন অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তর্পূবক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।