বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেবামূলক সরকারের আমলে সাধারণ মানুষ বিচার পেয়েছে ও মানবাধিকার সুরক্ষিত হয়েছে। নারীদের সরক্ষার জন্য পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ প্রণয়ন করা হয়েছে। নারী ও শিশুদের অধিকার সুরক্ষায় সরকার সদা সচেষ্ট। গতকাল রোববার স্পিকারের কার্যালয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে মানবাধিকার কমিশনের সদস্য মো. সেলিম রেজা, মো. আমিনুল ইসলাম, কংজরী চৌধুরী, ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, ড. তানিয়া হক, কাওসার আহমেদ এবং সচিব নারায়ণ চন্দ্র সরকার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অভূতপূর্ব অগ্রগতি, এদেশের জনগণের জীবনমান সুরক্ষায় সরকারের ভূমিকা, চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। স্পিকার বলেন, শুধু বেঁচে থাকাটাই মানবাধিকার নয়, খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন প্রদান, কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান, অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে সারাদেশের মানুষকে যোগাযোগ নেটওয়ার্কের আওতায় আনা, নারীদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, শিক্ষাক্ষেত্রে নারীদের অভূতপূর্ব অগ্রগতি, তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীদের দক্ষতা উন্নয়ন, ডেল্টাপ্ল্যান ২১০০ প্রণয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সরকার জনগণের জীবনমান সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইনের আলোকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্ত করতে পারে। জনগণের মানবাধিকারের ওপর ভিত্তি করে গঠন হয়েছে বাংলাদেশ রাষ্ট্র। মানবাধিকার সুরক্ষায় কমিশন বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিত গণশুনানি করে থাকে। এ সময় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।