কাস্টমস এজেন্টস লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০ বাতিল সহ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের মৌলিক অধিকার খর্ব করার প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে দু’দিনের কর্মবিরতি চলছে বেনাপোল বন্দরে। ফলে সকাল থেকে দু’দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বানিজ্য বন্ধ রয়েছে। বন্দর থেকেও বন্ধ রয়েছে সব ধরনের মালামাল ডেলিভারি। কাস্টমস হাউস ও বন্দরে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ আছে। দু দেশের বন্দর এলাকায় শতশত পন্য বোঝাই ট্রাক আটকা পড়েছে। বিশেষ করে পচনশীল পন্য সহ চাল, পান, মাছ ও গার্সেন্টমস এর কাচামাল খালাশ বন্ধ থাকায় ঝুকিতে রয়েছে অফামদানিকারকরা। বন্দরের ৫ হাজার শ্রমিক অলস সময় পার করছে সকাল থেকে। সিএন্ডএফ এজেন্ট্স এর এই কর্মবিরতির সাথে একাত্মতা ঘোষনা করেছেন বন্দর ব্যবহারকারী ৫টি সংগঠন।
অবস্থায় ওই বিধিমালা সংশোধন করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।
বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধন না করা হলে আগামী আজ ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি বেনাপোল সহ সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনে কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। বেনাপোল সিএন্ড এফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ সভাপতি খাইরুজ্জামান মধু জানান, বিধিমালা জারীর পর এর প্রয়োজনীয় সংশোধনের জন্য এ ফেডারেশন কর্তৃক বার বার চিঠি পাঠিয়ে অনুরোধ জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে। তারপরও কোনো ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের বাজেট প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে উত্থাপিত লাইসেন্সিং রুলের কয়েকটি বিধি ও উপ-বিধি সংশোধনীর প্রস্তাব করা হলেও তা আমলে নেয়নি রাজস্ব বোর্ড। এ কারণে গত বছর কয়েক বার কর্মবিরতি করা হয়। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্মকর্তারা বিধিমালা সংশোধনের বিষয়ে সংগঠনের নেতাদের আশ্বস্ত করেন।
দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড লাইসেন্সিং রুল সংশোধনের জন্য কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, এ বিষয়ে ফেডারেশনের নেতারা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেও কার্যকর কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি। আর তাতে সারা বাংলাদেশে কর্মরত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে ফেডারেশনের দেওয়া বিধি-বিধান সমূহ সংশোধন করার দাবি জানায় সংগঠনটি। অন্যথায় আজ ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনে কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে।
সংগঠনটি জানায়, লাইসেন্স বিধিমালা-২০২০ এর বিধি ১৫(৫) ঘ, ১৯(খ)(আ), ২৩(১)ঞও এবং ২৪(৪) সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীদের স্বার্থবিরোধী। তাদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে-শুল্ক মূল্যায়ন বিধিমালা ২০০০ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা, এইচ এস কোড ভুলের কারণে জরিমানা আরোপ ও শাস্তিমূলক বিধিবিধান বাতিল করা প্রভৃতি।