নোয়াখালীর সেনবাগে কৃষি ফসলি জমিনের টপ সয়েল মাটি কেটের নেওয়া ও গ্রামীন সড়কে অনুমোধিত যানবাহন চালানোর অপরাধে ১০ ব্যাক্তির নিকট থেকে ৫ লাখ টাকা জরিমান আদায় করেছে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার(ভূমি)তাজমিন আলম তুলির আদালত। ১১ জানুয়ারী থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত উপজেলা ৯টি ইউনিয়নে ওই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।
দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেঃ সেনবাগ উপজেলার ২নং কেশারপাড় ইউপির বীরকোট গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে নুরনবী ও ৫নং অর্জুনতলা ইউপির দক্ষিন মানিকপুর গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে হুমায়ুন কবিরের ২লাখ টাকা ,৮নং বীজবাগ ইউপির বীরনারায়নপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের ছেলে আবু ছায়েদ, ৭নং মোহাম্মদপুর ইউপির রাজামারপুর গ্রামের মোস্তফার ছেলে তোফায়েল আহমেদ ও দক্ষিন রাজারামপুর গ্রামের আবদুর হকেলে ছেলে শাহাদাত হোসেনের ১লক্ষ টাকা, ৬নং কাবিলপুরইউপির মহিদীপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে শেখ আহমেদের ৫০ হাজার টাকা, ৫নংঅজুনতলা ইউপির মানিকপুর গ্রামের ওবায়দুল হকের ছেলে সাইফুল ইসলামের ৫০ হাজার টাকা, অজুনতলা ইউপির দক্ষিন মানিকপুর গ্রামেরন আবদুর রবের ছেলে ওবায়দুল হকের ২০ হাজার টাকা, ও ডমুরুয়া ইউনিয়নের ডমুরুয়া গ্রামের মিরাজের ছেলে রিয়াজের ৫০ হাজার টাকা ,৯নং নবীপুর ইউপির গোপালপুর গ্রামের আবদুল হকের ছেলে মোঃ কাউসারের নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৫লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাজমিন আলম তুলি।
ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানাগেছে,সেনবাগ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ভৈধ ও অবৈধভাবে ৩৫টির অধিক ইটভাটা রয়েছে। ওই ইাটভাটার জন্য এক শ্রেনীর মাটি ব্যবসায়ী রাতের অন্ধকারে ভ্যেকু মেশিন দিয়ে ফসলী জমিনের টপ সয়েল( জমিনের মাটির উপরের অংশ) কেটে বিভিন্ন ইট ভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছে। এমন অভিযোগ পাওয়ার পর ইটভাটার মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে ফসলী জমিনের মাটি কাটা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু তারা তা অমান্য করে বিভিন্ন মাটি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে মাটি কাটা অব্যাহত রাখে। এরপর স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে বিগত ১৫দিন যাবত জলমহাল ও গ্রামীন সড়ক আইনে ঊপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গভীর রাতে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ১০ মাটি ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ৫লাখ ২০টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এধনের অভিযান অব্যহত থাকবে বলে বলেও জানান, ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাজমিন আলম তুলি।