বিজ্ঞ আদালতের নোটিশ ও কোম্পানীগঞ্জ থানার ১৪৪/১৪৫-কে অমান্য করে জোরপূর্বক নালিশী ভূমিতে ঘর নির্মাণ করেছে বিবাদী পক্ষ ওমর ফারুক গং। ঘটনাটি ঘটেছে মুছাপুর ইউনিয়নের ০২নং ওয়ার্ডে মঙ্গলবার গভীর রাতে ও বুধবার সকালে। কোম্পানীগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাধীন মুছাপুর ইউনিয়নের মরহুম এনায়েত উল্যার স্ত্রী খালেদা খাতুন গং বাদী হয়ে গত ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ খ্রিঃ তারিখে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, নোয়াখালীতে বিবাদী ওমর ফারুক গং এর বিরুদ্ধে ১টি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। বাদীর লিখিত আবেদন পত্রে নালিশী ভূমির যে তফসিল পাওয়া যায, তা হচ্ছে নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাধীন জেলা জরিপী ১৭নং দিয়ারা ২৯/১৮নং মধ্য মুছাপুর মৌজার জেলা জরিপী ১৮৬নং খতিয়ানের ৩৪৩১ দাগ দিয়ারা ৭৭২নং খতিয়ানের ৪৩১৯ দাগে ১ আনা ৪৫ শতাংশ যাহা হাল বিএস ২৮৫০নং খতিয়ানে ৭১২৮ দাগে ৪৫ শতাংশ আন্দরে ০৩ শতাংশ ভূমি। যাহার চৌহুদ্দি উত্তরে ইউসুফ, দক্ষিণে পুকুর, পূর্বে- খালেদা খাতুন গং, পশ্চিমে- সরকারী চলাচলের রাস্তা। এই বিষয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালত নোয়াখালী হইতে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনে বিজ্ঞ আদালত ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৪৪ ও ১৪৫ ধারার আওতায় বাদীর আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে ১টি পিটিশন মামলা রুজু হয়। যাহার নং- ১০৬/২০২৩ তাং ২৪/০১/২০২৩ খ্রিঃ এবং বর্ণিত পিটিশন এর আলোকে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জানাবা তামান্না মাহমুদ কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর নালিশী ভূমির আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখা সহ শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার নির্দেশ প্রদান করেন। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এর স্মারক নং-০৫.৪২.৭৫০০.০৩১.০১.০০১.২০২৩-১৪৫, তাং- ২৪/০১/২০২৩ খ্রি. এর আলোকে বর্ণিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এএসআই রবিউল -কে নির্দেশ দেন। এএসআই রবিউল তফসিল ভূমি পরিদর্শন করে ওই নালিশী ভূমিতে ১৪৪ ও ১৪৫ জারি করেন। এই বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার এএসআই রবিউল বলেন, আমি একাধিক বার রাতে ও দিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি, সেখানে গভীর রাতে বিবাদী ওমর ফারুক, পিতা- হাবীব উল্যাহ গং রাতের অন্ধকারে ঘর নির্মাণ করেছে বলে এলাকাবাসী জানান।