তাবলীগ জামাত একটি আধ্যাত্বিক ও ধর্মীয় সংগঠন। এখানে রাজনীতির কোনো সুযোগ নেই। বর্তমান তাবলীগ জামাতে বিভেদ সৃষ্টির একমাত্র কারণ তৃতীয় একটি পক্ষের রাজনৈতিক অবৈধ হস্তক্ষেপ। একটি ধর্মীয় রাজনৈতিক দল সুকৌশলে তাবলীগ জামাতে ঢুকে বিশৃংখল পরিস্থিতির তৈরি করছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তরার একটি রেস্তোরায় বিশ^ ইজতেমা পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা সাদ আহমদ কান্ধলভী অনুসারী তাবলীগের সাথীরা এসব কথা বলেন। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অ্যাডভোকেট আবদুল কুদ্দুস বাদল। এতে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ সায়েম, অ্যাডভোকেট ইউনুস মিয়া, মাওলানা সৈয়দ আনোয়ার আব্দুল্লাহ, মোহাম্মদ সোহেল ও মোহাম্মদ আতাউল্লাহ প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে সাত দফা দাবি তুলে ধরে বক্তারা বলেন, প্রয়োজনে প্রশাসনের তদারকিতে বিশ^ ইজতেমার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলেই মাঠের প্যান্ডেল নির্মাণ ও খোলার কাজ করবে এবং ময়দান ব্যবহার করবে, কাকরাইল ও বিশ^ ইজতেমা ময়দান থেকে দুই মাদ্রাসাকে অন্যত্র স্থানান্তর করা, তাবলীগের সার্বিক কার্যক্রম ও বিশ^ ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় প্রশাসনের সহযোগিতার জন্য নিরপেক্ষ প্রভাবমুক্ত একটি কমিটি গঠন, কাকরাইল মসজিদ পূর্বের মতো দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের অধীনে পরিচালনার যাবতীয় ব্যবস্থা করা, দেশের সকল মসজিদে তাবলীগের সমস্ত কার্যক্রমের জন্য অনুমতি দেওয়া; ধর্মীয় কাজে বাঁধা দিলে ও অপপ্রচার চালালে সংবিধান মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ; সারা দেশে স্বাধীনভাবে ধর্মীয় দাওয়াতি কাজ করার পরিবেশ তৈরি করে দেয়া, টঙ্গীর বিশ^ ইজতেমায় সকল মুরুব্বিদের আসার বিষয়ে নিশ্চয়তা প্রদান করা, বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রাখতে ও দেশের শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে; তাবলীগের যাবতীয় কাজ পরিচালনায় হেফাজতসহ তৃতীয় পক্ষের রাজনৈতিক অবৈধ হস্তক্ষেপ বন্ধ করা; যাতে করে ইসলামের নামে কোন পক্ষ সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে তাবলীগের নামে কেউ ভুল বুঝিয়ে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে।
বক্তারা আরো বলেন, তাবলীগ জামাত হলো এমন একটি সংগঠন যেখানে সব মাযহাবের মানুষ একসাথে বসে খাবার খায়। এখানে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না।