আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি বলেছেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্দব সরকার। এই দেশ স্বাধীন হবার পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উপলব্ধি করেছিলেন শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। তাই তিনি এই দেশে সর্ব প্রথম প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোকে জাতীয় করন করার মধ্য দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করেছিলেন। যার সুফল আজও জাতী ভোগ করছে। করোনাকালীন সময়ে বিনা মুল্যে করোনা টিকা দিয়েছে এই সরকার। শেখ হাসিনাকে জন কল্যানমুখী কাজ করার জন্য এই সরকারকে মনে রাখতে হবে। এই গৌরবকে ধরে রাখার জন্য আজকে শেখ হাসিনাকে আগামীকে ক্ষমতায় আনতে হবে। বিশে^ হাতে গোনা কয়েক জন রাষ্ট্র নায়কের মধ্যে অন্যতম পর্যায়ে রয়েছে। এই গৌরবকে বাংঙ্গালী জাতির অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা মার্কা আপনারা জয়যুক্ত করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখবেন। তিনি উপস্থিত সকলের নিকট নৌকায় ভোট প্রার্থনা করেন।
আমির হোসেন আমু আরও বলেন, মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তাদের বাইরে রেখে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা সম্ভব না। এই সরকার ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে প্রথম নারীদের সম্মান বৃদ্ধি করেছেন। পিতার নামের সাথে মায়ের নাম সর্বস্তরে সংযুক্ত করার আইন করেছেন। এর প্রতিদান দিতে হবে। গ্রামে অসহায় নারীদের ভিবিন্ন ভাতা প্রচলন করেছেন। তাই কৃতজ্ঞতা স্বরুপ নৌকায় ভোট দিতে হবে।
শুক্রবার দুপুরে ঝালকাঠির বাউকাঠি বিন্দুবাসীনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি ও পুন র্মিলনি উদযাপনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আমির হোসেন আমু তার বক্তব্যেও সময় এই অনুষ্ঠানে সাবেক অনেক শিক্ষানুরাগী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না করা ও নানা অব্যবস্থাপনার জন্য শতবর্ষ পূর্তি ও পুর্ণমিলনি উদযাপন কমিটির উপর ক্ষুব্ধ হন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনির হোসেন থলপহরির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম, শতবর্ষ পূর্তি ও পুন র্মিলনি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মুজিবুল হক আকন্দ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার আফজুল হক টুটুল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান সাইফুল্লাহ পনির, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান, পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার।
অনেকে দীর্ঘদিন পরে তাদের সহপাঠিদের পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পরে। তবে শতবর্ষ অনুষ্ঠান ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যাপীঠের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় পরিনত হলেও অভিযোগ রয়েছে অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনা নিয়ে। সাবেক শিক্ষার্থীরা টাকা দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করেও খাবার না পেয়ে অনুষ্ঠান শেষ না করেই চলে যান। ফিরে যাওয়ার সময় তারা সাংবাদিকদের সাথে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন দেশের বিভিন্নস্থান থেকে এসে সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার পাননি। অভুক্ত অবস্থায়ই তারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ না নিয়ে চলে যান। রেজিষ্ট্রাট সাবেক শিক্ষার্থীরা খাবার, উপহার সামগ্রী পায়নি অনেকেই।
অনেক সাবেক শিক্ষক ও অতিথিদের বলেন, মুলত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আমির হোসেন আমু বক্তব্য দিয়ে চলে যাওয়ার পরই বিশৃখংলা দেখা দেয়। তারা বলেন টাকা দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করে অনেক দূর দুুরান্ত থেকে এসেও সে সম্মানটুকু পায়নি।
শতবর্ষ পূর্তি ও পুর্ণমিলনি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও নবগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মুজিবুল হক আকন্দ বলেন, সাবেক সভাপতিকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। তারা সাথে ভুল বোঝাবুঝির কারণে তিনি আসেননি। আর একটা বড় অনুষ্ঠান করতে গেছে ভুল ত্রুটি হতে পারে। কমিটির সকলের সহযোগীতা না পাওয়ায় অনুষ্ঠানে কিছুটা সমস্যা হয়েছে।
বিকেলে সরকারী কলেজ চত্বরে ঝালকাঠি পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য সগ্রহ ও নবায়ন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আমির হোসেন আমু।