গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ঝিনিয়া এমএ উচ্চবিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণিতে প্রধান শিক্ষক কর্র্তৃক পুনঃ ভর্তির সুযোগ না দেয়ায় ১৪০ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, বিভিন্ন কারণে বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ খালেক ১৪০ শিক্ষার্থীকে পুনঃ ভর্তি করতে অসম্মতি জানায়। এর মধ্যে রয়েছে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ২৮ জন, ৭ম শ্রেণির ৩৩ জন, ৮ম শ্রেণির ৩১ জন ও ৯ম শ্রেণির ৩৫ জন সহ ১৪০ জন। পুনঃ ভর্তি হতে না পারায় এ সকল শিক্ষার্থীকে স্বেচ্ছাচারিাতর আশ্রয় নিয়ে প্রধান শিক্ষক মনগড়া ভাবে তাদের বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র প্রদান করছেন। এনিয়ে স্থানীয় অভিভাবকরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবী করে মানববন্ধনসহ আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। এ ছাড়া বিষয়টি সুষ্ঠু বিচার দাবী করে অভিভাবক বৃন্দ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করলেও কোন ফলাফল না পাওয়ায় তারা অনিশ্চিয়তায় ভুগছেন। শিক্ষার্থীরাও চরম হতাশাগ্রস্থ হয়ে ভবঘুরের ন্যায় জীবন যাপন করছে। শিক্ষার্থীর অভিভাবক এরশাদ আলী, নজরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, আমিনুল ইসলাম সাজুসহ অনেকে জানান, প্রধান শিক্ষকের হটকারী সিদ্ধান্ত, স্বেচ্ছাচারিতা, জ্বাল-জালিয়াতি, দুর্নীতি প্রভৃতি কারণে বিদ্যালয়টি ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে পৌছে যাচ্ছে। পুনঃ ভর্তি হতে না পারায় তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। তারা ১৪০ শিক্ষার্থীকে পুনঃ ভর্তি ও বিদ্যালয়টিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোড় দাবী জানান। এনিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মু: মাহমুদ হোসেন মন্ডল বলেন, অভিযোগ পেয়েছি বিধিমতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান শিক্ষককে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।